রাঙ্গামাটির ফিশারিঘাট হতে মারিশ্যা, মাইনী, জুড়াইছড়ি ও বরকল নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় মালিক সমিতি। ফলে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন প্রতিদিন যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থতিতে “লংগদু স্টুডেন্টস ফোরাম, রাঙ্গামাটি” এর আবেদনের ফলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনে আশ্বস্ত করেন জেলা প্রশাসক।
সম্প্রতি ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাঙ্গামাটির ফিশারিঘাট হতে মারিশ্যা, মাইনী, জুড়াইছড়ি ও বরকল নৌরুটে স্পিডবোটের ভাড়া নির্ধারিত করা হলেও রাঙ্গামাটি স্পিডবোট মালিক সমিতি প্রজ্ঞাপন অনুসরণ না করে হঠাৎ করে নৌচলাচল বন্ধ করে দেয়।
এতে চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়ে বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল ও জুড়াইছড়ি উপজেলার বসবাসরত নৌপথে চলাচলের যাত্রীরা। ফলে ৬ মে (মঙ্গলবার) “লংগদু স্টুডেন্ট ফোরাম ” রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাাসকের নিকট নির্ধারিত ভাড়া দ্রুত বাস্তবায়ন এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে নৌচলাচল স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়ে একটি লিখিত আবপদন পেশ করলে জেলা প্রশাসক রাঙামাটি অচিরেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে করার বিষয়ে আশ্বাস দেন।
এসময়ে জেলা প্রশাসক তাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেন, “হঠাৎ করে এভাবে নৌচলাচল বন্ধ করে দেওয়া অবশ্যই উচিত হয়নি। সাধারণ মানুষের সাথে এ ধরনের কাজ বরদাশত করা হবে না। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সমস্যার সমাধানে আমরা কাজ করবো।”
উল্লেখ্য যে, রাঙ্গামাটির হতে লংগদু, মাইনী, দুরছড়ি, মারিশ্যা, বাঘাইছড়ি, জুড়াইছড়ি, বরকল ও হরিনা নৌপথটি জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসব এলাকার সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ মাধ্যম না থাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ নৌপথেই যাতায়াত করে থাকেন। তাই হটাৎ করে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ হওয়ায় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।