পাহাড়ের জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ সরকারের ৩৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
৪ঠা মে (রবিবার) সকাল ১০ টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ লংগদু শাখার আয়োজনে লংগদু উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মাঠের পশ্চিম প্রান্তে কবরস্থানের সম্মুখে কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএস মামুন ও প্রয়াত প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রশিদ সরকারের সুযোগ্যপুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের লংগদু উপজেলা সভাপতি মোঃ সুমন তালুকদার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাংগামাটি জেলা রাঙামাটি জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ শাহ আলম মুরাদ, লংগদু উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম লংগদু উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মুফতি ওবায়দুল্লাহ আহরার সহ মরহুমের পরিবারের সদস্য বৃন্দ এবং লংগদু হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন লংগদু উপজেলা মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা মুফতি ওবায়দুল্লাহ আহরার।
উল্লেখ্য যে, ১৯৮৯ ইং সনের ৪ঠা মে একদিনে লংগদু উপজেলা সদরের বিএডিসি গোডাউনের সামনে পাহাড়ের ৪০ হাজার নিরীহ বাঙালির হত্যাকারী খুনি সন্তুর নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র সংগঠন শান্তি বাহিনী গুলিতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
সেদিন পবিত্র মাহে রমজানের রোজা রেখে মাইনীমুখ বাজার থেকে ইফতারের জন্য তরমুজ নিয়ে মায়ের সাথে ইফতার করতে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। তাই হয়তো অনেকের দাওয়াত গ্রহন না করে মায়ের কাছে ছুটে আসেন, কিন্ত খুনি সন্তুর দুর্বিত্তরা তাকে আর মায়ের কাছে পৌছতে দেয়নি।ইফতারির আগ মুহুর্তেই রাস্তার পাশে অস্ত্র তাককরে উৎপেতে থাকা শান্তি বাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর মৃত্যুতে সেদিন লংগদুতে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। সেদিন থেকে লংগদু উপজেলা সর্বস্তরের জনগণ তাঁকে শ্রদ্ধাভরে প্রতিবছর স্মরণ করেন। তিনি ছিলেন লংগদু উপজেলার সকলের নিবেদিত প্রাণ।