লক্ষীপুরের সাবেক এম পি পিংকু-উপজেলা চেয়ারম্যান টিপু সহ ২০০ জনের বি’রু’দ্ধে মা’ম’লা

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে লক্ষ্মীপুর- ৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকুকে প্রধান করে এবং সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় এ দুইজনসহ ৭৭ জনের নামে উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদীর নাম আবদুল মতিন, তিনি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আটিয়াতলী গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন মতিন। ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে পায়ে ও পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন তিনি।

মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- টিপুর দুই ভাই এএসএম বিপ্লব ও আনোয়ার শাহাদাত শিবলু, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ভুলু, বায়েজিদ ভুঁইয়া, ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন লোটাস, শেবাব নেওয়াজ, কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু, আবু তালেব, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এজাহারে বাদী জানান, গত ৪ আগস্ট সকালে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী বাসস্ট্যান্ড যাত্রী চাউনি এলাকায় প্রধান আসামি পিংকুর নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে অন্যান্য আসামিরা দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। প্রধান আসামির রাইফেল থেকে ছোড়া তিনটি গুলি তার পায়ের গোড়ালিতে বিদ্ধ হয়। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান টিপুর ছোড়া দুটি গুলি তার পেটে বিদ্ধ হয়। এছাড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে ৭০-৮০ জন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ এবং মারাত্মকভাবে আহত হয়। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়।

বাদী আবদুল মতিন বলেন, হামলা ও গুলিতে আমি নিজেও আহত হয়েছি। তাই বিচারের আশায় থানায় মামলা দায়ের করি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ুন বলেন, এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। অজ্ঞাত আসামিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলা ও গুলিতে লক্ষ্মীপুরে চার ছাত্র নিহত হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email