খাগড়াছড়িতে পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পুলিশের জানুয়ারি মাসের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল।
সভায় জেলার পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। পুলিশ সুপার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জেলা পুলিশের কল্যাণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং তা অব্যাহত রাখতে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় পুলিশ সদস্যদের আবাসন, রেশন, পরিবহন, ডিউটি সংক্রান্ত সমস্যা এবং পারিবারিক বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার সকলের সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা, সদাচরণ, পেশাদারিত্ব বজায় রাখা এবং আইন মেনে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশ বাহিনীর সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য শৃঙ্খলা ও পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সভায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করা হয়। কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ ইউনিটের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন এবং পুলিশ সুপার সমাধানের আশ্বাস দেন।
পুলিশ সুপার সকল কর্মকর্তাকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এবং বাহিনীর সার্বিক কল্যাণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার তাগিদ দেন।
কল্যাণ সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা বিভিন্ন বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে এই ধরনের কল্যাণ সভা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এছাড়াও দুপুর ০৩:০০ ঘটিকায় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জানুয়ারি মাসের আইন শৃঙ্খলা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আরেফিন জুয়েল, জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ খাগড়াছড়ি জেলার সকল ইউনিটের ইনচার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিভিন্ন থানার গুরুত্বপূর্ণ মামলা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন, মাদক-উদ্ধার, পরোয়ানা ভুক্ত আসামী গ্রেফতার এবং চোরাচালান রোধে করনীয় বিষয় সংক্রান্তে বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় জেলার সকল অফিসার ইনচার্জদের উদ্দেশ্যে নতুন বাংলাদেশে মাদক, চোরাচালান, দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে তৎপরতার সহিত পুলিশিং কার্যক্রম করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে প্রকৃত জড়িত আসামীদের গ্রেফতার সহ লুন্ঠিত বা চোরাইকৃত সম্পত্তির দ্রুততম সময়ে উদ্ধারের জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয়। কোন ঘটনায় নিরীহ কোন ব্যাক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখার জন্য সকল সার্কেল অফিসার, সকল অফিসার ইনচার্জ ও সকল ফাঁড়ি ইনচার্জদের জোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email