জয়পুরহাটে ডা’কা’তির প্রস্তুতির সময় পুলিশ ও ডা’কা’ত দলের গো’লাগু’লি ; পুলিশসহ আ’হ’ত-২, আ’ট’ক

 

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে গভীর রাতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় পুলিশ ও ডাকাত দলের গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছে দুইজন। উপজেলার আলমপুর গ্রামে আবুল হায়াতের বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ২৪ জানুয়ারী রাত ১০টায় উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ডাকাতি করার জন্য ওই গ্রামে আবুল হায়াতের বাড়িতে একত্রিত হচ্ছিল ডাকাত দল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আবুল হায়াতের বাড়ী ঘেরাও করে। ডাকাত দলের সকল সদস্যদেরকে আত্মসমর্পনের আহবান জানানো হলে ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ পিছু হটিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে কন্ট্রোল থেকে আরও অতিরিক্ত ফোর্সের সহায়তা চায়। ওই সময় জয়পুরহাট সদর, পাঁচবিবি, কালাই ও ক্ষেতলালের অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পুলিশ পাল্টা ১২ রাউন্ড কার্তুজ গুলি ছুড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনারস্থল থেকে ওই ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে আটক করে। এতে ডাকাত দলের এক সদস্য রবি দাশ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধরতে গিয়ে ডিবি পুলিশের একজন সদস্য গুরুতর আহত হয়৷ এঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, বগুড়া দুপচাঁচিয়া কোল গ্রামের মজিবর উদ্দীনের ছেলে মাঝের আলী ওরফে খোকা (৪৮ ), ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আঃ মাজেদ (২৬), আক্কেলপুর উপজেলার আলী মাহমুদপুর গ্রামের মোহন রবিদাসের ছেলে শ্রী প্রশান্ত রবি দাশ(২৭), ওই বাড়ীর মালিক আবুল হায়াতের স্ত্রী মোমেনা খাতুন,(২৩), ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার টেপাখোলা গ্রামের মোতালেব মল্লিকের মেয়ে সিনথিয়া আক্তার (২০)।
পলাতক রয়েছে, ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রামের খাজামুদ্দিনের ছেলে হাসান আলী (২৩), আলমপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে আবুল হায়াত (৩১)।
ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন ১টি কুড়াল, ১টি কোদাল, ১টি বটি, দুইটি মোটর সাইকেল সহ নগদ ৪১ হাজার টাকা।
ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য গুরুতর আহত হলে তিনি জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে৷
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, ক্ষেতলালে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যাদের আটক করা হয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তারা আইনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি আরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা পেশাদার ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সদস্য। তারা ডাকাতির উদ্দেশে একত্রিত হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email