সাতকানিয়ায় চলতি মৌসুমে আলু চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলু চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষকরা। উপজেলার সবজি ভান্ডার খ্যাত খাগরিয়া ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের সাথে আলাপকালে তাদের চোখে মুখে সেই আনন্দের ঝিলিকও লক্ষ্য করা যায়। মাসখানেক পরেই এসব আলু উঠানো শুরু করবে এ অঞ্চলের সোনার মানুষ কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশে থাকায় এ পর্যন্ত আলুতে কোন রকম রোগ বালাই না হওয়ায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলেই এই বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। সেই সাথে কিছু অভিযোগও তুলে ধরেছেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।
খাগরিয়া ইউনিয়নের নতুন চর খাগরিয়া গ্রামের চাষি নজির আহমদ জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৩কানি জমিতে আলু চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো। গন্ডা প্রতি ৪-৫ মণ আলু উঠাতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
খাগরিয়া মাঝের পাড়ার চাষি মোহাম্মদ আলী ২ কানি জমিতে আলু চাষের কথা জানিয়ে বলেন, মহাজনের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে চাষ করে বাজার দরের চেয়ে কম মুল্যে মহাজনকে আলু বিক্রি করতে হয়। তাই তেমন লাভ থাকেনা।

খাগরিয়া দক্ষিণ পাড়ার চাষি আবু তাহের, সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, বছর বছর বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম ও শ্রমিকের মজুরী বাড়ছে। চলতি বছর ১৩০-১৪০ টাকা দরে বীজ কিনতে হয়েছে। গত বছর কিনেছিলাম ৯০-১০০ টাকা দরে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, শস্যভান্ডার খ্যাত খাগরিয়ার প্রান্তিক চাষিদেরকে যদি সরকারী ভাবে পানি সেচের ব্যবস্থা, সুদমুক্ত কৃষি ঋণ, ভুর্তুকিমুল্যে সার-বীজ সরবরাহ ও নিয়মিত তথ্য সহায়তা দেওয়া হয়, তাহলে আলুসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজি উৎপাদন কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে সাতকানিয়া উপজেলায় ডায়ামন্ড, কার্ডিনাল, দোহাজারীসহ কয়েক ¤্রিেণর আলুর চাষাবাদ হয়েছে। সঠিক নিয়ম মেনে আলু চাষ করলে কৃষক অধিক লাভবান হয়। আমি এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে কৃষকদেরকে উৎসাহ দিয়ে আসছি। যার ফলে প্রতি বছরই আলু, ভূট্টা, সরিষা ও বুরোসহ বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email