চট্টগ্রাম নগরের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় নৌ-বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে লরিচালকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ ওঠেছে। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন প্রাইম মুভার শ্রমিকরা। এতে সড়কের উভয়পাশে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে সল্টগোলা রেলক্রসিং মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে লরিচালকরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী গনমাধ্যমকে জানান, সল্টগোলা থেকে আগ্রাবাদমুখী সড়কে একটি লরি দাঁড় করানো ছিল। পাশ দিয়েই নৌ-বাহিনীর একটি গাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় নৌ-বাহিনীর গাড়িতে সামান্য ধাক্কা দেয় লরিটি। এরপর গাড়িতে থাকা অন্তত পাঁচজন নৌ-সদস্য নেমে ওই লরিচালককে হাতে থাকা একটি লাঠি দিয়ে মারধর করেন। পরে ওই চালক লরিটি সড়কের মাঝখানে আড়াআড়িভাবে রেখে অন্য চালকদের ডেকে আনেন। সেখানে চট্টগ্রাম জেলা প্রাইম মুভার ট্রেইলার সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত হন। সড়কটির সাথেই লাগোয়া সংগঠনটির কার্যালয়।
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, লরিচালকদের সড়ক অবরোধের ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত বিভিন্ন যানবাহন ইঞ্জিন বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। এতে কর্মজীবী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। জরুরি কাজ থাকলেও ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সুযোগ নেই।
জানতে চাইলে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান উদ্দীন গনমাধ্যমকে বলেন, ‘লরিচালকরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বলে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য থানা থেকে বের হয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে থানা আনুমানিক দুই কিলোমিটার। কিন্তু সড়কে এত যানজট যে আমাকে হেঁটে যেতে হচ্ছে। সেখানে গিয়ে জানাতে পারবো বিস্তারিত।’
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর জোন) মাহমুদুল হাসান গনমাধ্যমকে বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি নৌবাহিনীর কোনো এক কর্মকর্তার সাথে এক লরিচালকের বাকবিতণ্ডা হয়েছে। যার ফলে চালকরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। ওখানে আমাদের পুলিশ এবং নৌবাহিনীর লোকজনও গেছেন। সমাধানের চেষ্টা চলছে