নেই কোনো উন্মুক্ত আয়োজন,থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজারে আসছে ৩ লক্ষ পর্যটক

 

দিগন্ত ছুঁয়ে যাওয়া নীল জলরাশিতে গা ভাসানো কিংবা পড়ন্ত বিকেলে ডুবতে রাজি থাকা ক্লান্ত সূর্য অবলোকন করতে চানতো? তবে কক্সবাজার!

আর থার্টি-ফাস্ট নাইটে সমুদ্র শহর কক্সবাজারে সমাগম ঘটতে যাচ্ছে ৩ লক্ষ পর্যটকের। আগাম বুকিং হয়ে গেছে হোটেল-মোটেল, রিসোর্টের ৯০ শতাংশ কক্ষ। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। কিন্তু উন্মুক্ত কোনো আয়োজন না থাকলেও বিশেষ নিরাপত্তায় মোড়া থাকবে পুরো কক্সবাজার।

বছরব্যাপী পর্যটকে ঠাসা থাকা কক্সবাজারে বছরের শেষ সময়ে এসেও যেনো তিল ধারণের ঠাঁই নেই কোথাও। শেষ সূর্যাস্তের সাক্ষী হতে ইতিমধ্যেই কক্সবাজার ভিড়বে লাখো প্রাণ, এমনটাই জানালেন ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজার বীচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান জানান, প্রায় সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্টের ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। থার্টি-ফাস্ট নাইটে সমাগম ঘটতে পারে প্রায় ৩ লক্ষ পর্যটকের।

হোটেল দি কক্স টু ডে এর কর্মকর্তা আবু তালেব জানান, তাদের প্রায় কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। উন্মুক্ত কোনো আয়োজন না থাকলেও তারকা মানের হোটেল গুলোতে আছে অভ্যন্তরীণ আয়োজন।

ঢাকা থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করতে আসা আয়েশা-মাসুম পর্যটক দম্পতি জানান, পুরনো বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই কক্সবাজার ছুটে এসেছেন।

এদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা বলেছে প্রশাসন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ঘিরে ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম জানান, সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযোগ বক্সের পাশাপাশি ড্রোন দিয়েও নজরদারি করা হবে।
তবে পর্যটকদের অভিযোগ, ভিড় থাকলেও সমুদ্র দেখা ছাড়া বিশেষ কোন বিনোদনের ব্যবস্থা নেই কক্সবাজারে। যা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তারা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email