যাইবানি ও মাঝি ভাই ঔ লুসাই পাহাড়ে, যে জায়গাত তুন আইসে নদী কর্ণফুলীরে গানের শিল্পী, আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি সনজিত আচার্য্য (৭১) আর নেই ।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় স্ট্রোক করে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি তিন মেয়ে ও স্ত্রী স্বপ্না আচার্য্যসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে মুহূর্তের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শিল্পী সনজিত আচার্য্যের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শোকের ছায়া নেমে আসে চট্টগ্রামের সংগীত ও সংস্কৃতিজনদের মধ্যে। অনেকে ছুটে আসেন পাথরঘাটার বাসায়।
সনজিত আচার্য্য চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার চাপড়া গ্রামের কীর্তনীয়া মনোরঞ্জন আচার্য্যরে ছেলে। তার জন্ম ১৯৫৩ সালের ২৫ জুন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তিনি পরিবার নিয়ে নগরের পাথরঘাটা ইকবাল রোডে নিজস্ব বাসায় থাকতেন।
আঞ্চলিক সংগীতাঙ্গনের গুণী শিল্পী, সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী সনজিত আচার্য্য ৭০ এর দশকের শেষের দিকে আঞ্চলিক নাটক ‘সাম্পানওয়ালা’ নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন প্রয়াত সংগীত কিংবদন্তী সত্য সাহা, যে ছবি গোটা দেশে আলোড়ন তুলেছিল। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানে শেফালী ঘোষ ও শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবের কালজয়ী জুটির পর সনজিত আচার্য্য-কল্যাণী ঘোষ জুটিই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি।
সনজিত-শেফালী, সনজিত-কল্যাণী এবং সনজিত-কান্তা নন্দীর দ্বৈতকণ্ঠে গাওয়া ‘বাজান গিয়ে দইনর বিলত/ পাটি বিছাই দিয়্যি বইও ঘরত’, বাঁশ ডুয়ার আড়ালত থাই/ আঁরারে ডাকর কিয়রল্লাই, ‘গুরা গুরা হতা হই/ বাগানর আড়ালত বই/ পিরিতির দেবাইল্যা আঁরারে বানাইলা’সহ অনেক গান চিরসবুজ আঞ্চলিক গান হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।