চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা হ-ত্যা ঘটনায় ২৫ জনের বি’রু’দ্ধে দুই মা’ম’লা

বুধবার মধ্যরাতে পুলিশ ও সেনা সদস্য বাদী হয়ে পৃথক আইনে মামলা দুইটি নথিভূক্ত হয়েছে বলে জানান চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া।

তিনি জানিয়েছেন, মামলা দুইটিতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৮ জনকে। এর মধ্যে সেনা বাহিনীর ফাঁসিয়াখালী ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল্লাহ আল হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় একটি এবং পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে অপর মামলাটি দায়ের করেছেন।

ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজীম ছারোয়ার হত্যার ঘটনায় বুধবার মধ্যরাতে পুলিশ ও সেনা সদস্য বাদী হয়ে পৃথক আইনে দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভূক্ত ৬ আসামিকে পুলিশ ও সেনা সদস্যরাসহ যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার এজাহারভূক্ত অপর আসামিসহ অজ্ঞাতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার রাতে গ্রেপ্তার ৬ আসামিকে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করেছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিমের বাড়িতে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল দাঁড়ালো অস্ত্র ও বন্দুক নিয়ে আক্রমণ করেছে বলে তথ্য পায়। পরে লেফটেন্যান্ট তানজিম এর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানিক দল ঘটনাস্থল ডুলাহাজারা পূর্ব মাইজপাড়া রেজাউল করিমের বাড়িতে গিয়ে ডাকাতদলকে ডাকাতি করার প্রাক্কালে গ্রেপ্তারের চেষ্টা কালে ডাকাত দলের সদস্যরা যৌথ বাহিনীর অভিযানিক দলকে দেখে এদিক-সেদিক পালানোর চেষ্টা চালায়।

এসময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল রেজাউল করিমের বাড়ি ও আশপাশ থেকে ৬ জন ডাকাতকে আটক করে। এসময় ১টি পিকআপ গাড়ি, ১ টি মোটরসাইকেল, ১ টি বন্দুক ও চোরা উদ্ধার করে।

ডাকাতদের আটককালে অস্ত্রধারী ডাকাত যৌথ বাহিনীর অপারেশন দলের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট তানজীমের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তখন আক্রান্ত লেফটেন্যান্ট তানজীমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত রামু সেনানিবাস সিএমএইচে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email