চন্দনাইশ উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ি ছড়ার ওপর প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হলো কাঠের সেতু। উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত ও অর্থায়নে কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
জানা যায়, পূর্ব ধোপাছড়ির শঙ্খমুখ, ক্যাম্পপাড়া, শামুকছড়ির দুই শতাধিক পরিবারের লোক এ পথে যাতায়াত করে। তবে শেষ রক্ষা হলো না সেতুটির। বাঁশের চালের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে ধোপাছড়ির একমাত্র সেতুটি।
সন্ধ্যায় স্রোতে ভেসে আসা এক বাঁশ ব্যবসায়ীর ২/৩ হাজারের একটি বিশাল বাঁশের চালির ধাক্কায় সেতুটি ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি জনপথ ইউনিয়ন ধোপাছড়ি। একমাত্র যোগাযোগের সড়ক ইউনিয়নটি পিছিয়ে রয়েছে। ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ধোপাছড়ি খাল, যা মিশেছে খরস্রোতা শঙ্খনদের সাথে। বাঁশের সাঁকোতেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে খালটি পারাপার করতে হতো ইউনিয়নের ১ নং ও ২ নং ওয়ার্ড শঙ্খকুল, চেমিরমুখ এলাকার প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবারসহ দুই পাড়ের মানুষকে।
উল্লেখ যে, গত বছরের অক্টোবরের দিকে চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ দিয়ে ১শ’ মিটার লম্বা ও ৭ ফুট প্রস্থের একটি দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। তখন থেকেই সেতুটি দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। কিন্তু ধোপাছড়িবাসীর দুঃখ যেন শেষ হবার নয়। সেতুটি নির্মাণের বছর না ঘুরতেই পাহাড়ি ঢলের সাথে ভেসে আসা একটি বিশাল বাঁশের চালির ধাক্কায় সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ল। সেই সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হল।
সেতু ভাঙ্গার বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম জানান, বাঁশের ধাক্কায় কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়েছে। বিষয়টি তিনি শুনেছেন।তিনি ইউপি সচিবকে সেতুটি উপযোগী পর্যন্ত নৌকা দিয়ে চলাচল করার জন্য ঘাট ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দেন।