দেশের অন্যতম বড় উপজেলা ফটিকছড়িতে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের লাইনম্যান ও কারিগরি কর্মকর্তারা একযোগে কর্মবিরতিতে গিয়ে অফিসে জমা দিয়েছেন তাদের সরঞ্জাম, অভিযোগ কেন্দ্রের মোবাইল ফোন, গাড়ির চাবি এমনকি গণছুটির ফরমও। এরপর খালি করে ফেলেছেন কর্মস্থল, ফলে পুরো উপজেলা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পৌরসভা থেকে নাজিরহাটসহ সর্বত্র একই চিত্র।
একজন ক্ষুব্ধ গ্রাহক বলেন, “বিদ্যুৎ পাই না, বিল দিই ঠিকই। ফোন করলে অফিস থেকে কেউ রিসিভ করে না। এখন আবার কর্মবিরতি! আমাদের কি জিম্মি করে রাখা হয়েছে?”
অন্যদিকে গৃহিণীরা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় খাবার পানি সংকট, ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হওয়া, শিশু ও অসুস্থ মানুষদের নিয়ে দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এক যুবক আক্ষেপ করে বলেন,“ফটিকছড়িবাসী ধৈর্য ধরে আছে। কিন্তু একবার যদি ক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় নামে, তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে।”
যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ম্যানেজার আবুল বাশার শামসুদ্দিন আহমদকে পাওয়া যায়নি।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, কর্মীদের আন্দোলন শেষ করে কাজে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে বিকল্পভাবে আউটসোর্সিং লোকবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎহীন ফটিকছড়ির গ্রামগুলোতে সন্ধ্যা নামার আগেই নেমে আসে অন্ধকার। দোকানপাট বন্ধ, বাড়িঘরে ঝিম ধরা পরিবেশ, রোগীদের জন্য ফার্মেসিগুলোতেও চলছে চরম ভোগান্তি। সবমিলিয়ে অচল হয়ে পড়েছে ফটিকছড়ির জনজীবন।
স্থানীয়রা বলছেন, এখন কেবল প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ এবং দ্রুত সমাধানই পারে ফটিকছড়িবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করতে।