নাইক্ষ্যংছড়িতে ৬ লাখ টাকার অ’বৈ’ধ কাঠ জ’ব্দ: ৫ ‘স’ মিল মা’লি’ককে জ’রিমা’না

নাইক্ষ্যংছড়িতে যৌথ টাস্কফোর্স অভিযানে ১৬৬ ঘনফুট অবৈধ সেগুন কাঠ জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে পাঁচটি ‘স’ মিল মালিককে সর্বমোট ৩৪,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত কাঠের বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা বলে জানা গেছে।

বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কেজি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নাইক্ষ্যংছড়ির সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান ইতু এবং ১১ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন।

উক্ত অভিযানে অংশ নেয় নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি), নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ, বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা এবং নাইক্ষ্যংছড়ি বনবিটের কর্মকর্তারা। অভিযানকালে বিভিন্ন ‘স’ মিলে অভিযান চালিয়ে মোট ১৬৬ ঘনফুট অবৈধ সেগুন কাঠ উদ্ধার করা হয়, যার প্রতি ঘনফুটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা হারে জব্দকৃত সিজার মূল্য দাঁড়ায় ৫,৮১,০০০ টাকা।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস কে এম কফিল উদ্দিন কায়েস বলেন, “বনসম্পদ রক্ষায় বিজিবি সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ধরণের অবৈধ কাঠ পাচার ও সংরক্ষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।”

এদিকে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান বলেন, “বন আইন অনুযায়ী কাঠ রাখার লাইসেন্স না থাকায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। জব্দকৃত কাঠ যথাযথ প্রক্রিয়ায় বনবিভাগে জমা দেওয়া হচ্ছে।”

অন্যদিকে, নাইক্ষ্যংছড়ি বনবিট কর্মকর্তা জানান, “কাঠগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মিলগুলোর আড়ালে মজুদ করে রাখা হয়েছিল। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ ও বন আইনে মামলার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, বন বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত সেগুন কাঠ সংরক্ষণ ও সঞ্চালন দণ্ডনীয় অপরাধ। অভিযান শেষে জব্দকৃত সব কাঠ বনবিভাগে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email