বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এক লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (২১ জুন) ভোর আনুমানিক ৬ টা ১০ মিনিটের সময় মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা জামালের ঘের এলাকা থেকে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৩৪ বিজিবি’র ঘুমধুম বিওপির একটি বিশেষ অভিযান দল জামালের ঘের এলাকায় ওঁত পেতে থাকে। ভোর ৬টা ১০ মিনিটে একটি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে এক যুবক সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করলে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে এফডিএমএন ক্যাম্প-৮ (ইস্ট), ব্লক-বি/৭৪ এর বাসিন্দা মো. শহিদ (১৯), পিতা- হোসেন আহম্মেদকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা। পরে তার ফেলে যাওয়া ব্যাগ তল্লাশি করে এক লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবি’র অবস্থান জিরো টলারেন্স। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও মাদক নির্মূলে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটককৃত আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান।”
এদিকে এত বড় ইয়াবার চালান আটক হওয়ায় সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাকারবারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অন্যদিকে স্থানীয়রা বিজিবি’র এ অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, “এ ধরনের অভিযান নিয়মিত হলে সীমান্তে অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে।”
সবশেষে, বিজিবি জানিয়েছে, আটক শহিদ একজন এফডিএমএন। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।