আকাশে মে’ঘ জমলেই বি’দ্যুৎ থাকে না,বৃ’ষ্টি হলে তো কথাই নেই’ রুহিয়াতে

আকাশে কালো মেঘ হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আর সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলে তো কোনো কথাই নেই। রবিবার একটু ঝড়ো হাওয়া বৃষ্টিতে উধাও বিদ্যুৎ  রাতে ১২টায় থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত ও সোমবার রাতে থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ছিল না বিদ্যুৎ।

এছাড়া আর একটু ঝড়-বৃষ্টি হলে দু-একদিনেও বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। তখন এই বিদ্যুতের তাঁর ছিড়ে নয়তো লাইনের উপর গাছগাছালি পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। নতুবা ত্রুটি দেখা দেয় ৩৩ কেভি লাইনে। এই হলো রুহিয়া থানা ছয়টি ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত চার টি আংশিক ইউনিয়নবাসি পল্লীবিদ্যুতের নিত্যদিনের চিত্র।

বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকেই রুহিয়াবাসী এমনই দুর্ভোগে ভুগছেন।এছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ফোন নাম্বারে ফোন দিলে সবসময় ওয়েটিং থাকে গত মার্চ মাস থেকেই পল্লীবিদ্যুতের এই রাতে বিদ্যুৎ না থাকায়  কবলে পড়ছেন গ্রাহকরা। লোডশেডিংয়ের ফলে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন অনেক দোকানদার, তেমনি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ গ্রাহক ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। দিনে অন্তত ৪ থেকে ৬ বার পল্লীবিদ্যুতের এই লোডশেডিং চলছে। বৈশাখের ঝড়বৃষ্টির দাপট শেষের দিকে বিদ্যুতেই এই আসা যাওয়া যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রুহিয়া রশিদ আলী ও সুমন বলেন ,বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের তাঁরের টেম্পার নেই। বেশির ভাগ খুঁটিও দুর্বল। হালকা বাতাস এলেই তাঁর ছিড়ে অথবা খুঁটি পড়ে সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় জোড়াতালি দিয়েই কোনো মতে চালানো হচ্ছে রুহিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহর কার্যক্রম। আকাশে সামান্য মেঘ জমলেই এবং মাঝারি বেগে হাওয়া ও টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হলেই রুহিয়া পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা আতঙ্কে ভূগেন- এই বুঝি বিদ্যুৎ উধাও হয়ে গেল। আর একবার গেলে ঘন্ট থেকে দুই ঘন্টার মধ্যে ফিরে আসে না।

বিষয়ে রুহিয়া পল্লীবিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী গগন সাহা জানান, আকাশে মেঘ জমলে ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ঝড়ো বাতাসের কারণে মানুষের জানমাল ও ট্রান্সফরমার ত্রুটি ঠেকাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা হয়। এর পরও ঝড়ে গাছ-পালার ডাল ভেঙ্গে পড়ে ক্যাবল ছিঁড়ে যাচ্ছে। আর ট্রান্সফরমারে ত্রুটি ও ইনস্যুলেটর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া ডিসের অবৈধ ক্যাবল বাতাসে ছিঁড়ে বিদ্যুতের ক্যাবলে পড়ায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে। তবে এ জন্য ওজোপাডিকোর পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি আরোও বলেন, বিদ্যুতের বেশি ক্ষতি করছে গাছপালার ডাল। কালবৈশাখী ঝড়ে দু’দফায় গাছের ডাল কর্তন হয়েছে। এই এরিয়ায় বিদ্যুতের চাহিদার কোনো ধরণের ঘাটতি নেই ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email