১ নং পাড়িয়া ইউনিয়নে বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও অসহায় নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিডব্লিউবি কার্ডের চাল বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ১ নং পাড়িয়া ইউপি’র সদস্যদের নামে এ অভিযোগ করেছেন সুবিধাভোগিরা।
হতদরিদ্রদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ১১টায় সময় থেকে ১ নং পাড়িয়া ইউপি’র প্রতি ওয়ার্ডের ৩০৫ জন হতদরিদ্রকে চলতি মাসের ভিডব্লিউবি’র বিনামূল্যের ৩০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়।
হতদরিদ্ররা অভিযোগ করে জানান, প্রত্যেক কার্ড ধারীর কাছ থেকে ইউপি সদস্যরা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে আদায় করেছেন।
উপজেলার ১ নং পাড়িয়া ইউপি’র দক্ষিণ দুয়ারী মাছখুড়িয়া গ্রামের কেলা (কার্ড নং-২০০), (কার্ড নং ২০৮) (কার্ড নং-১৭ )সহ প্রতি ওয়ার্ডের অর্ধশতাধিক হতদরিদ্র কার্ডধারী অভিযোগ করে বলেন, ১ নং পাড়িয়া ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা চাল বিতরণের আগেই ঘোষণা দেন, প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৩০০থেকে ৫০০ টাকা করে বাধ্যতামূলক জমা দিয়ে চালের বস্তা নিতে হবে।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, ‘আমরা দরিদ্র মানুষ, সরকার আমাদের বিনা পয়সায় চাল দিছে। কিন্তু ইউপি সদস্যরা ৫০০টাকা করে না দিলে চাল দিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে আমরা বাধ্য হয়েই ধার-দেনা করে ৩০০থেকে ৫০০শ’ টাকা জমা দিয়ে চালের বস্তা নিয়েছি।’
অবৈধভাবে হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে টাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফোনে বিষয়টি নিয়ে অনেক বিরুপ মন্তব্য করেছেন স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা বলেন, ‘কিছু কার্ডধারী স্বেচ্ছায় ৩০০-৫০০ টাকা করে চাল উত্তোলন খরচ হিসাবে জমা দিয়েছিল।
১ নং পাড়িয়া ইউপি’র সচিব আব্দুর রহমান এ ঘটনার বলেন আমি এবিষয়ে জানিনা আমি ট্রেনিং ছিলাম তবে এটা মোটেও ঠিক হয়নি। এবিষয়ে জানতে চাইলে ১ নং পাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী এবিষয়ে কেমরার সামনে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।