অবৈধ পথে আসা ১৫৫টি বার্মিজ গরু ও মহিষ জব্দ করলো প্রশাসন। কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান ঘিরে ছড়িয়েছে উত্তেজনা ও গুঞ্জন।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে কক্সবাজার সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে পরিচালিত হয় এই অভিযান। মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে আনা পশুগুলোর কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সবগুলো গরু ও মহিষ জব্দ করে রাখা হয়েছে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিমের জিম্মায়।
অভিযান শেষ না হতেই শুরু হয়েছে তদবিরের হিড়িক। স্থানীয় ইজারাদার ও কিছু গরু ব্যবসায়ী বিভিন্ন মহলে পশু ছাড়িয়ে নিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শুকুর ফেসবুকে দাবি করেছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জাল কাগজপত্র তৈরি করে গরু-মহিষ বৈধ প্রমাণের চেষ্টা করছেন।
তবে এসব অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের অবস্থান কঠোর। ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিমল চাকমা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। বিস্তারিত এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
কক্সবাজার সদর এসিল্যান্ড শারমিন সুলতানা জানান, “১৫৫টি গরু ও মহিষের কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তাই আমরা আইন অনুযায়ী তা জব্দ করেছি।
অন্যদিকে ঈদগাঁও বাজারের ইজারাদার আব্দুর রহিম দাবি করেন, “ব্যবসায়ীরা দুপুরে খেতে গিয়েছিল, তাই কাগজ দেখানো সম্ভব হয়নি। আমাদের সব পশুই বৈধ।
ঈদগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, “অভিযানে পুলিশ সহায়তা করেছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চলে। জব্দকৃত পশুগুলো চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈদগাঁও বাজারে তৈরি হয়েছে চরম উত্তেজনা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ। প্রশাসনের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আভাসে বাড়ছে জনমনে কৌতূহল।