নাইক্ষ্যংছড়িতে স’ন্ত্রা’সী হা’ম’লা’র ঘটনায় ৮ ব্যক্তির বি’রু’দ্ধে মা’মলা’র প্র’তিবা’দে মান’ববন্ধন

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে গাজী রাবার প্রসেসিং প্লানটেশনের ম্যানেজার মো. শামীম রেজার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় জনসাধারণ।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৫ টায় বাইশারী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে বাইশারী বাজার চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাইশারী ইউনিয়নস্থ নারিচবুনিয়ার শ্মশান ঘাট নামক এলাকায় মো. শামীম রেজাকে কে বা কারা গুলি করে পালিয়ে যায়। এরপর সোমবার, তার মা শাহেদা বেগম নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ৮ জন নিরীহ ব্যক্তি এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

প্রতিবাদ সভায় বাইশারী ইউনিয়নস্থ ৮ নং বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ ইসহাক মাইজ্জা বলেন, “এই মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা কেউই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়।
এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত একটি মামলা। প্রশাসনের উচিত সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাইশারী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম শিবলী বলেন, “গণমানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ৮ নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে—এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনুন।

বাইশারী ইউনিয়ন ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলাম সোহেল বলেন, “বাইশারীর মানুষ শান্তিপ্রিয়। আমাদের ভাইদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যারা প্রকৃত অপরাধী, তারা আজও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। প্রশাসনের উচিত নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে নির্দোষদের মুক্তি দেওয়া।

এদিকে, মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন—ওসমান (৪৫), মামুন মিয়া (২৬), সৈয়দ আলম (২২), মিজান (২৭), রাকিব (২৪), আরিফুল্লাহ ওরফে আরিফুল (২০), মোহাম্মদ বাবুল (৩০), মিজান (৩০), এবং অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন।

উক্ত মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান—এ ঘটনায় প্রকৃত তদন্ত করে মিথ্যা মামলায় জড়ানো নিরীহ ব্যক্তিদের অব্যাহতি দেওয়া হোক এবং প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email