আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এই দিনে এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে বাঁশখালীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারান।
এমন পরিবারও আছে, যেই পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। অনেক লাশের সন্ধান পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। সেই দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকার মানুষ এখনও ভয়ে ভয়ে দিনাতিপাত করছেন।
এখনও সাগরের পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁশখালীর বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকার লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। তাই টেকসই বেড়িবাঁধ পুননির্মাণ বাঁশখালীবাসীর প্রাণের দাবি।
বাঁশখালী উপকুলীয় এলাকা চনুয়ার নুরুল আমিন বলেন,আমি পরিবারের ৭জনকে হারিয়ে স্বজন হারানোর দুঃসহ চিহ্ন বুকে নিয়ে একা এখনো বেছে আছি,ভয়াল ২৯ এপ্রিল আসলে আমি স্বজন হারানোর বেদনা এবং আচমকা মৃত্যু ভয় আমার বুকে কাজ করে,আমরা সরকারের কাছে স্বজন হারানোর ক্ষতিপূরণ বা অনুদান চাইনা আমরা উপকুলবাসী টেকসই বেড়ীবাঁধ চাই।
বাঁশখালী, আনোয়ারার বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিশাল বাজেটের একটি কাজ একনেকে আগেই অনুমোদন হয়েছে। এই কাজটি যেন দ্রুত সময়ে টেকসই কাজ হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উপকূলবাসীর পক্ষ থেকে দাবি দাওয়া বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে জানানো হয়েছে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব’সহ বাঁশখালী উপজেলা সদরে উপকুলাসীর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে।