বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চৌদ্দ বছরের কিশোরীকে রাতভর কয়েক দফা ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী একই এলাকার দুই সন্তানের জনক মনির (৩০)।
ধর্ষক মনির রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলাধীন ১নং আটরকছড়া ইউনিয়নের তিনব্রীজ বটতলা এলাকার, মোঃ আমির হোসেনের ছেলে।
কিশোরীর বাবা জানায়, বুধবার রাতে হটাৎ করে মেয়েকে বাসায় খুঁজে না পেয়ে প্রতিবেশী মনিরের বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে মেয়েকে খোঁজ করলে মনিরের স্ত্রী বলে আপনার মেয়ে আসেনি, আমার স্বামী তামাক ক্ষেতে আছে। তখন সন্দেহ হয়, সাথে সাথে তামাক ক্ষেতে খুজতে গেলে মনির মানুষ জন দেখে পালাতে চেষ্টা করে, পরে এলাকার লোকজন তাকে আটক করেন।
আটক পরবর্তী মানুষের জিজ্ঞাসাবাদে মনির কিছু বলতে চাচ্ছিলেন না। অতঃপর স্থানীয়দের চাপে মনির জানায়, কিশোরী তামাকের চুলায় আছে। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে শ্লীলতাহানি অবস্থায় সেখান হতে উদ্ধার করেন।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে মামলা না করার পরামর্শ দেয়, এলাকায় বসে সমাধান করার কথা বলে। কিন্তু তাদের হেফাজতে রাখা ধর্ষককে সু-কৌশলে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে এলাকার মাতাব্বরেরা।
থানা পুলিশ সুত্রে জানাযায়,এবিষয়ে রাতেই থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ধর্ষককে খুঁজে পায়নি। মামলা রুজু করে পরিক্ষা নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে ভিকটিম জানায়,প্রতিবেশী মনির আংকেলের স্ত্রী আমার সাথে মনিরের সম্পর্ক আছে এমনটা আমার বাবাকে বলবে বল্লে আমি ভয়ে তামাক ক্ষেতে পালাই। কিছুক্ষণ পর ধর্ষক আমাকে তামাক ক্ষেতে দেখতে পেয়ে জোর করে গভীর তামাক ক্ষেতের মাঝখানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে চট্টগ্রাম নিয়ে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তামাকের চুলায় গামছা বিছিয়ে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরক্ষণে আমার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করলে মনির আমাকে তামাক চুলায় রেখে পালিয়ে যায়।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিশোরীর বাবা রাতে থানায় আসলে ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়,কিন্তু আসামী পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ধর্ষককে গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিশোরীকে মেডিকেল করার প্রক্রিয়া চলছে।