লংগদুতে চার বা’চ্চার মাকে ধ’র্ষ’ণ চেষ্টার অ’ভিযো’গে আ’ট’ক এক যু’ব’ক”

রাঙ্গামাটির লংগদুতে চার বাচ্চার মাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে স্থানীয় এক বখাটে সোহাগ (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সে উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের মুর্শিদাবাদ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

১৯ মার্চ (বুধবার) উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের মুর্শিদাবাদ এলাকায় ঘটনার শিকার ভিকটিম ভিকটিম জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তার নিজের বাড়ি থেকে তার ভাইয়ের মেয়েকে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন, ভাইয়ের মেয়েকে তার বাসায় রেখে ধান ক্ষেতের উপর দিয়ে আসার সময় পিছন থেকে বখাটে সোহাগ ভিকটিমের চোখে মুখে চেপে ধরে ধস্তাধস্তি করে। একপর্যায়ে পাশের ধানের জমিতে শুইয়ে ফেলেন। ভিকটিমের হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে কল দেওয়ার চেষ্টা করলে সোহাগ মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটির গর্তে পুঁতে রেখে দেয়। পরে ভিকটিমের ওড়না কেড়ে নিয়ে তার মুখ বাঁধার চেষ্টা করলে কৌশলে তিনি ধর্মের দোহাই দিয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।

ভিকটিমের মা জানান, আমার মেয়ের সাথে যেটা হয়েছে এটা যেন আর কোন মেয়ের সাথে না হয়। আমি মা হিসেবে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। আমি আমার মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা চাই।

ভিকটিমের স্বামী জানান, ঘটনার সময় আমি বাজারে ছিলাম। খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে দেখি আমার পরিবারের অবস্থা ভালো না। সে সারাদিন রোজা রেখেছে। এ ঘটনায় সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে স্থানীয় চৌমুহনী বাজারের ফার্মেসীতে নিলে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য লংগদু সদর হাসপাতালে পাঠায়। আমরা হাসপাতালে কেন গেলাম সেই জন্য এলাকার নেতারা বিচার করবে না বলে আমাদের জানায়। আমি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার চাই।

ভিকটিমের ভাই এবং বাবা বলেন, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আসামির উপযুক্ত বিচার করতে হবে। সমাজে আমাদের মান-সম্মান নষ্ট করে দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, ভিকটিমের চারটি কন্যা সন্তান ও মেয়ের জামাই আছে। এহেন নিন্দনীয় কাজের সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিম এবং তার পরিবারের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email