বাঘাইছড়িতে মা’নবব’ন্ধ’ন ও স্মা’রকলি’পি প্রদান

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে বিগত ২০১৯ সালের   ১৮ই মার্চ ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ও আহতদের পরিবারকে পূর্ণর্বাসন ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০ ঘটিকায় পূর্ণবাসন কমিটি’র সভাপতি আবু তাহের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে নিহত ও আহত পরিবার সহ স্হানীয় জনগন। মানববন্ধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারক লিপি পেশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার মাধ্যমে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ১৮মার্চ রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলা নিবার্চনের দিনে উপজেলার কংলাক থেকে ব্যালট পেপার বহনকারী গাড়ি নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল হান্নান আরবের নেতৃত্বে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ফেরার পথে নয়কিলো এলাকায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ব্যালট ছিনতাইয়ের উদ্দেশে ওই গাড়িটিকে লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করলে ঘটনাস্থলে চারজন এবং উপজেলা সদর হাসপাতালে আনার পথে আরও তিন নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আরও পাঁচজন। আহতদের মধ্যে নির্বাচনি এক কর্মকর্তা ০৯ এপ্রিল ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অর্থাৎ এ ঘটনায় সর্বমোট আটজন নিহত হয়েছিলো।

তারা হলেন- প্রিজাইডিং অফিসার মো. আব্দুল হান্নান আরব, বাঘাইছড়ি কিশালয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মো. আমির হোসেন (৪০), ভিডিপি সদস্য মো. আল আমিন (১৭), বিলকিস আক্তার (৩০), মিহির কান্তি দত্ত (৩৫), জাহানারা বেগম (৩৭) ও মন্টু চাকমা (৩৫)। আহত হয় ৩৩জন। ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ্য করে মামলা করলেও গ্রেপ্তার হয়নি মূল হত্যাকারীরা। তাই প্রতি বছর এ দিনে ক্ষোভ দেখা দেয় স্থানীয়দের মধ্যে।

উক্ত ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ৩৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন। আহতদের অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঘটনার পর সরকার ও নুরুল হুদা নির্বাচন কমিশনার প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের পুর্নবাসন ও দোষিদের গ্রেপ্তার করার কথা থাকলেও তা ৬ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি।

এসময় বক্তারা বলেন আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ও যোগ্যতা অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের চাকুরি ব্যবস্থার পাশাপাশি পাহাড়ে প্রত্যাহার করা সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপনের দাবি জানান। তারা আরো বলেন নির্বাচনের সংহিসতাকারীরা এখনো গ্রেপ্তার হলো না। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত বিচার না হওয়ার কারণে বাঘাইছড়ি উপজেলায় এমন ঘটনা প্রায় প্রতিদিন ঘটছে।
এদের প্রতিহত করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। বাঘাইছড়িবাসি আর কোন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে মেনে নেবে না।

উক্ত মানববন্ধনে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, মোঃ মোস্তফা কামাল,সহ-সভাপতি কেন্ত্রীয় পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, গুলিবৃদ্ধ মাহাবুল আলম সহ নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email