আরবি ক্যা’লিগ্রা’ফি এঁ’কে প্রশংসায় ভাসছেন সিলেটের ত’রু’ণী সুমি।

আরবি ক্যালিগ্রাফি হল আরবি বর্ণমালার উপর ভিত্তি করে হাতের লেখা এবং ক্যালিগ্রাফির শৈল্পিক অনুশীলন।শৈল্পিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আরবি ক্যালিগ্রাফি তার বৈচিত্র্য এবং উন্নয়নের বিশাল সম্ভাবনার জন্য পরিচিত এবং সমাদৃত।

জীবনে পথ চলার ক্ষেত্রে বাধা বিপত্তি থাকবে এই বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে চলার নামই জীবনযুদ্ধ। তেমনি এক তরুণী সফলতার মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরেছেন অজোপাড়া গ্রামের গন্ডী পেরিয়ে বিশ্ব ব্যাপি।

সিলেটের দক্ষিন সুরমা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের বাসিন্দা হাজী মোহাম্মদ আবদুল হান্নান ও মোছা: ফাতিমা বেগম দম্পতির মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুমি।

সুমি বর্তমানে নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থী।
ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকা এবং ক্যালিগ্রাফির প্রতি বিশেষ ঝোঁক ছিল সুমির। প্রায়ই ছবি এঁকে মা-বাবাকে দেখাতেন। তারাও তাকে উৎসাহ দিতেন। ৫ম শ্রেণী থেকে শুরু করেন ছবি আঁকা। এর পর থেকে আর তাকে পিছনে তাকাতে হয়নি।

সুমির ক্যালিগ্রাফির চিন্তা মাথায় আসে করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে। ইউটিউবের ভিডিও দেখে শুরু তার এই যাত্রা।

প্রথমে ভাইয়ের মোবাইল থেকে নিজের হাতের আঁকা একটি পেইন্টিং আপলোড সুমি, সেই পেইন্টিং জনপ্রিয়তা ছড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর পর থেকে শুরু হয় বিক্রি। এখন পর্যন্ত অনেক ছবি বিক্রি করেছেন তিনি।

সুমির এই গল্প আরও ছড়িয়ে পড়ে গ্রামীনফোনের একটি ভিডিওর মাধ্যমে।

গত ৯ই মার্চ দেশের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক কোম্পানি গ্রামীনফোনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সুমিকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ পায়।গত কয়েক দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে। অজস্র লাইক ও শেয়ার হয়েছে। এমন কাজের প্রশংসা করেছেন হাজারো মানুষ।

এখন উনার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন শিক্ষনীয় ভিডিও আপলোড করে থাকেন।

সুমি এখন একটি অনুপ্রেরণার নাম।বুক ভরা স্বপ্ন, দৃঢ়চেতনা আর অসীম সাহস-ই তাঁর সঞ্জীবনী শক্তি।সুমির এই সফলতা প্রমান করে নারীর সাফল্য পরিবারের সাফল্য, নারীর সাফল্য পুরো জাতির সাফল্য, এই সত্য বুঝতে নিশ্চয়ই কেউ কার্পণ্য করবেন না।

নারীর সাফল্য আজ হাতে গুনে খুঁজে বের করার প্রয়োজন হয় না। যেদিকেই চোখ যাবে নারীর অগ্রগতির চিত্রই বিদ্যমান। মাঠ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালতের উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত আজকের নারী।
নারীর অগ্রযাত্রায় একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র সুমি। সুমিকে দেখে আমাদের দেশে আরও গল্প তৈরি হবে হাজারো সুমির।

ঘর থেকে বের হয়ে এগোনোর পথ খুঁজে বের করেছে বলেই আজ পেছনে ফেরার কোনো উপায় বা ইচ্ছা কোনোটাই নেই নারীর। আর নারীর অগ্রযাত্রার জন্যই যে সমাজের অগ্রগতি হয়েছে সে কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email