খুরুশকুল আ’শ্রা’য়ন প্রক’ল্পে প্রধান উপ’দে’ষ্টা এবং রো’হি’ঙ্গা ক্যা’ম্পে অ্যান্তেনিও গুতেরেসে

২৫৩ একর জায়গা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার শহরের অদূরে খুরুশকুলে জলবায় উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এসময় প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মিরাজুল ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

প্রকল্পের অধীনে ১২৯ টি ভবনে ৪২১৮ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।

এরপর প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার জেলার পর্যটন ও উন্নয়ন সম্ভাবনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

সভায় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। এর আগে দুপুরে জাতিসংঘ মহাসচিব সহ কক্সবাজারে বিমানযোগে আসেন তিনি।

বিকাল ৫ টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস সহ লাখো রোহিঙ্গার সাথে ‘মেগা’ ইফতারে অংশ নিবেন। মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এজন্য মিয়ানমারে শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকালে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে আমি দুটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছি। প্রথমত, আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারে শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিত করে কোন ধরনের বৈষম্যের শিকার তারা যেন না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, রোহিঙ্গারা আরও ভালো পরিবেশ চায় ক্যাম্পে। দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য অনেক দেশ সম্প্রতি নাটকীয়ভাবে মানবিক সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। এই কারণে আমাদের মানবিক সহায়তার মধ্যে খাবারের রেশন কমাতে হয়েছে। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। যত দেশ সম্ভব আমি কথা বলবো, যাতে করে ফান্ড পাওয়া যায় এবং এর থেকে আরও খারাপ পরিস্থিতি না আসে।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবে, এমনটি প্রত্যাশা করেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে জোরালো আওয়াজ তুলবো। কারণ সম্মানের সঙ্গে এখানে বসবাসের জন্য এই সম্প্রদায়ের মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email