ছি’নতা’ইকা’রী ও চাঁ’দা’বা’জদের রা’জ’ত্ব :পু’লি’শ প্র’শা’সন নি’ক্রি’য়

কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল রাস্তার মাথায় ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের রাম রাজত্ব চলছে। প্রশাসনিক দুর্বলতার বিভিন্ন সুযোগে ছিনতাইকারীদের এমন দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানান, খুরুশকুল ও চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ নতুন রাস্তার মাথা এলাকা থেকে সিএনজি ও টমটমে চলাফেরা করে। এই স্থানকে টার্গেট করে তৈরি হয়েছে চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজ চক্র।

যার নেতৃত্বে রয়েছে, কক্সবাজার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কবরস্থান রোডস্থ টেকনাইপ্পা পাহাড়ের শফি আলম প্রকাশ বার্মাইয়া শুভ। এই ছিনতাইকারী দীর্ঘদিন ধরে খুরুশকুল ইউনিয়নের অসংখ্য সাধারণ মানুষের মোবাইল ও সর্বস্ব ছিনতাই করেছে। কয়েক বার ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক হলেও, গেল ৬-৭ মাসে খুরুশকুল রাস্তার মাথায় বিশাল ছিনতাইকারী চক্র ও চাঁদাবাজ বাহিনী তৈরি করে চালাচ্ছে তার মহড়া।

এই এলাকা দিয়ে চলাচল করা কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের যাত্রীবাহী সিএনজি থেকে মোহাম্মদ রোহাল এবং টমটম থেকে মোহাম্মদ রাকিব চাঁদা আদায় করে। আর তাদের নেতৃত্বে রয়েছে শুভ। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই চলে নানামুখী অত্যাচার।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছে, সরকার পরিবর্তনের পর টমটম চালকদের উপর বার্মাইয়া শুভ এর নেতৃত্বে চাঁদাবাজ রুহাল ও রাকিবের টমটম চালকদের উপর অমানবিক ভাবে মারধর ও নির্যাতনের প্রতিবাদে খুরুশকুলের টমটম চালকরা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে একটি প্রতিবাদ সমাবেশি করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা আশার বাণী শোনালেও বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন টমটম চালক জানায়, পেটের দায়ে গাড়ি চালাতে এসে প্রতিদিন চাঁদাবাজদের কাছে অপদস্ত হাতে হচ্ছে। অকথ্য ভাষায় গালি গালাজে যাত্রীরাও অতিষ্ঠ। এছাড়া অনেক সময় গাড়িতে থাকা স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের ইভটিজিং করতেও দেখা যায়। আমরা এদের ভয়ে সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছি। চরম নিরাপত্তাহীনতা এবং সন্ত্রাসী, ছিনতাকারী ও চাঁদাবাজদের হাতে খুরুশকুলবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে, যেন দেখার কেউ নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী সিএনজি চালক জানায়, অভিযুক্ত বার্মাইয়া শুভ বাহিনীর চাঁদাবাজদের হাতে অবৈধ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়নি এমন টমটম বা সিএনজি চালক খুঁজে পাওয়া যাবে না। অনেকে পেটের দায় ও লোকলজ্জায় এসব নির্যাতনের কথা মুখে তোলেন না।

কয়েকজন স্থানীয় জানায়, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড দক্ষিণ তারাবনিয়ার-ছড়ার কবরস্থান পাড়াটি নতুন রাস্তার মাথা এলাকার কাছাকাছি হওয়ায় সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে। কবরস্থান রোডের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অপকর্ম করে চলে যায় কিন্তু বদনাম হয় রাস্তার মাথা এলাকার লোকজনের। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস যেন কারো নেই।

এদিকে, মাদকের টাকা জোগাড়ে প্রকাশ্যে দলবেঁধে মহড়া দিয়ে শুভ বাহিনী ছিনতাই করা শুরু করেছে। এই অবস্থায় সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে সর্বদা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কক্সবাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে খুরুশকুলের সিএনজি ও টমটম চালকরা এসব ছিনতাইকারী- চাঁদাবাজদের হাত থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email