কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত এক যুবককে উদ্ধার করে তিন অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বালুখালী নামক এলাকায় নৌবাহিনী ও পুলিশের এক যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও সাতটি গুলি।
উদ্ধার হওয়া ওই যুবক হলেন আরেফুল ইসলাম শুভ। তিনি নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার বাসিন্দা।
গ্রেফতার অপহরণকারীদের একজন হেলাল উদ্দিন। তিনি হোয়াইক্যং এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রোপচারসহ নানা অভিযোগে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের একটি গোপন আস্তানায় অপহৃত এক ব্যক্তিকে জিম্মি রেখে মুক্তিপণ দাবির খবরে নৌবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩/৪ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়।
এ সময় ধাওয়া দিয়ে অপহরণ চক্রের মূল হোতা এবং মাদক ও অস্ত্র কারবারি হেলাল উদ্দিনকে তার ২ সহযোগীকে আটক করা হয়। পরে তার বাসা থেকে অপহরণের শিকার নরসিংদীর মনোহরদি উপজেলার বাসিন্দা আরেফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানে পরবর্তীতে হেলাল উদ্দিনের বসত ঘর সংলগ্ন এলাকায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় দেশিয় তৈরি ৪ টি বন্দুক এবং ৭ টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, অপহরণের শিকার ওই ব্যক্তি গত ৩ মার্চ নরসিংদী থেকে কাজের সন্ধানে টেকনাফের বাসিন্দা মজিবের কাছে আসেন। কিন্তু মজিব তাকে কাজ না দিয়ে হেলাল উদ্দিনের আস্তানায় একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। চক্রটি অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের নিকট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা হয়েছে।
