আদিবা ইবনাত ইরা জিরো অলিম্পিয়াড ফাইনালে

 

কক্সবাজারের মেধাবী শিক্ষার্থী আদিবা ইবনাত ইরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা Zero Olympiad-এর ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইরা জেলার গর্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সারা বিশ্ব থেকে অংশ নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে ফাইনালিস্ট হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন ইরা।

ইরা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও সেলিনা আক্তার দম্পতির কন্যা। রামুর জোয়ারিয়া নালা সিকদার পাড়া এলাকায় বসবাস করেন এ দম্পতি।
গত তিন বছর ধরে তিনি কক্সবাজারের গ্রামার স্পোকেন ইংলিশ ও ফোনেটিকস শেখানো প্রতিষ্ঠান স্পিকআপ-এ আন্তর্জাতিক মানের ইংরেজি শিখছেন।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ইরা বলেন,
“Zero Olympiad-এর ফাইনালিস্ট হতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত। মা-বাবা, শিক্ষকমণ্ডলী এবং স্পিকআপের রাসেল স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রম আমাকে সবসময় সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছে। এই অনুপ্রেরণাকে সাহসে রূপান্তর করে আমি আরও ভালো কিছু অর্জন করতে চাই। ভবিষ্যতেও শিক্ষা ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখার পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হয়ে মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে চাই। সবার দোয়া কামনা করছি।”

ইরার বাবা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন কন্যার এই সাফল্যে আবেগাপ্লুত। তিনি বলেন,
“Zero Olympiad-এর SDG-3 প্রতিযোগিতায় বিশ্বের হাজারো প্রতিযোগীর মধ্যে আমার মেয়ে চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে। আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। স্পিকআপের রাসেল স্যারের তত্ত্বাবধানে এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় ইরা এতদূর আসতে পেরেছে। আমি চাই, সে মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের জন্য অবদান রাখুক। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।”

ইরার মা সেলিনা আক্তার বলেন,
“আমার মেয়ে Zero Olympiad-এর ফাইনাল স্টেজে পৌঁছেছে, এটি আমার জন্য আনন্দের ও গর্বের বিষয়। ভবিষ্যতে সে যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশ ও আমাদের গর্বিত করতে পারে, সেই কামনা করছি। আমরা সবসময় ওর পাশে আছি, যাতে সে মেধা বিকাশের মাধ্যমে একজন আদর্শ মানুষ হতে পারে।”

স্পিক আপ এর সিইও ও শিক্ষক রাসেল জানান, Zero Olympiad এ কঠিন দুইটি ধাপ পার করে চুড়ান্ত পর্বের জন্য সারা বাংলাদেশে ৫১ জনের মধ্যে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করায় ইরাকে অভিবাদন। যেখানে একজন লন্ডন, একজন ওমান,চায়না ও তুর্কী আছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি তৈরি করেছি অসাধারণ কিছু স্টুডেন্টস। যারা সমানতালে grammar এবং Spoken এ দক্ষ। যাদের ইংরেজি বিশ্বমানের। নিখুঁত Grammar এবং spoken দিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সাথে তারা তাল মিলিয়ে চলছে।

ইরার সাফল্যের পেছনে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও স্পিকআপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার পরিবার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বিশেষভাবে স্পিকআপের রাসেল স্যার এর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাইফুদ্দিন-সেলিনা দম্পতি।

ইরার এই অসাধারণ অর্জন কক্সবাজারবাসীর জন্য গর্বের বিষয়। তার সামনে আরো উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। দেশ ও বিশ্বের জন্য অবদান রাখার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় ইরা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email