উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলিয়ে কামেল, ফটিকছড়ি’র মাইজভান্ডার আধ্যাত্ম শরাফতের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম হযরত মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) প্রকাশ- হযরত কেবলার ১১৯তম বার্ষিক ওরশ মোবারক গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) যথাযোগ্য মর্যাদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে।
শত বৎসরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ১০ মাঘ এ অলিয়ে কামেলের ওফাত দিবসে বংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে ভক্ত-অনুরক্ত-আশেকরা মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সমাবেত হয়। গত বৃহস্পতিবার দরবারের আওলাদরা পৃথক পৃথক ভাবে ওরশের অনুষ্ঠানিকতার সূচনা করেন। ওরশ শরীফ সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশে আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। লাখো ভক্ত-জনতার আগমন ও অবস্থান নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
ওরশ উপলক্ষ্যে গত তিন দিন ধরে দেশ-বিদেশের ভক্তরা হাদিয়া নিয়ে বিভিন্ন ভাবে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে সমাবেত হয়। ওরশ উপলক্ষে মাইজভান্ডার এলাকার দুই বর্গকিলোমিটার জুড়ে লোকজ মেলা বসেছে। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। প্রায় দশ লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে। বাদ আসর থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন মঞ্জিলের পক্ষ থেকে তাদের ভক্ত-জায়রীণদের নিয়ে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। বাদ আসর প্রথম গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের পক্ষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহসূফি সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (মঃজিঃআঃ)। বাদে মাগরিব গাউছিয়া রহমানিয়া মঈনিয়া মঞ্জিলের পক্ষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহসূফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী (মঃজিঃআঃ)। বাদ এশা গাউছিয়া হক মঞ্জিলের পক্ষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহসূফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (মঃজিঃআঃ)।
রাত ১০টায় গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের পক্ষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন, শাহসূফি ডাঃ সৈয়দ দিদারুল হক মাইজভান্ডারী, শাহসূফি সৈয়দ সহিদুল হক মাইজভান্ডারী, শাহসূফি সৈয়দ আহমদ হোসাইন মাইজভান্ডারী ও শাহসূফি সৈয়দ সাজ্জাদ মাইজভান্ডারী। রাত ১২টায় সর্বশেষ আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউছিয়া আহমদিয়া এমদাদিয়া মঞ্জিলের শাহসূফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (মঃজিঃআঃ)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শাহজাদা সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভান্ডারী। এরপর ভক্তকুল নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরা শুরু করে।