নরসিংদীর রায়পুরায় দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ২০ জন। আজ রোববার সকালে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের বাঁশগাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজনের মধ্যে আলমগীর হোসেন আলম (১৯) বাঁশগাড়ি দিঘলিয়াকান্দি এলাকার জহর আলীর ছেলে। তাৎক্ষণিকভাবে অপরজনের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আদিল মাহমুদ বলেন, জাকির হাসান রাতুল এবং আশরাফুল গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। তাতে দুজন মারা গেছেন। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল হক সরকার ও বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকিরের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে স্থানীয় যুবদল নেতা হারুনের সমর্থকেরা আজ রোববার সকালে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। তাতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আলমগীর হোসেনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থলেই একজন মারা গেছেন বলে জানায় পুলিশ। আহত অন্যদের নরসিংদী সদরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাব্বির আহাম্মেদ বলেন, ‘সকালে বাঁশগাড়ি এলাকা থেকে তিনজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হাসান রাতুল বলেন, ‘সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন কিছুটা ঝামেলা ছিল। বেশ কয়েক দিন ধরে মিলেমিশে চলছি, কোনো সমস্যা নেই। গতকাল রাতে বাঁশগাড়ীর যুবদল নেতা হারুন ও আশরাফুলের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। এর সঙ্গে আমার কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। আমি বর্তমানে এলাকার বাইরে আছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ বলেন,‘সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে একজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।’