খাগড়াছড়িতে সে’না রিজিয়ন ও ছাত্র পরিষদের যৌথ উদ্যোগে ১ টাকার বাজার

খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এক টাকার বাজারের আয়োজন করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে খাগড়াছড়ির ৬ শতাধিক দরিদ্র পরিবার ১ টাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করেছে।

শনিবার সকাল ২৫ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এই ব্যতিক্রমী বাজারের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান।

এই উদ্যোগের আওতায় ৮ ধরণের পণ্য, যার মধ্যে চাউল, ডাল, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য ছিল, ১ টাকায় বিতরণ করা হয়। বর্তমান সময়ে যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী, সেখানে মাত্র ১ টাকায় এই ধরনের পণ্য পেয়ে খুশি হয়েছেন খাগড়াছড়ির দরিদ্র জনগণ।

এ সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান বলেন, এক টাকার বাজারের মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নামমাত্র মূল্যে প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়ার সুযোগ তৈরি করা। এই উদ্যোগ স্বল্প আয়ের লোকজনদের স্বাবলম্বী ও আত্মবিশ্বাসী হওয়ার পথ প্রশস্ত করবে। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো শুধু নিরাপত্তা দেয় না, বরং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সবসময় সচেষ্ট থাকে।

তিনি উপস্থিত সবাইকে স্বপ্ন দেখান, যদি সবাই নিজেদের অবস্থান থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ায় তবে একটি সুন্দর খাগড়াছড়ি গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজে মানবিকতা ও সহানুভূতির চেতনা আরো শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিজিয়ন কমান্ডারের সহধর্মিনী ফারজানা আক্তার চৌধুরী, খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুবায়েত আলম, সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাদেমুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত জিটুআই ক্যাপ্টেন মাজাহারুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি ক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য এবং পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিব আজমসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ ধরনের বাজারের আয়োজন খাগড়াছড়ি জেলা তথা পার্বত্য অঞ্চলের দরিদ্র জনগণের জন্য একটি বড় ধরনের সহায়তা হয়ে উঠবে। স্থানীয় জনগণ এই উদ্যোগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন এবং তাদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ দেশব্যাপী অন্যত্রও সম্প্রসারিত হওয়া উচিত।

এছাড়া, সামাজিক সম্প্রীতির দৃঢ়তা বাড়ানোর জন্য এই ধরনের মানবিক উদ্যোগগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমান হাসান মন্তব্য করেন, সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির সাহায্য জনগণের জন্য বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।

এটি যে শুধু খাগড়াছড়ি এলাকায় নয়, বরং সারা দেশে আদর্শমূলক উদ্যোগ হিসেবে গণ্য হতে পারে, তা বলাই বাহুল্য। এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন দেখিয়ে অন্য স্থানেও দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email