ফুলবাড়ীতে চারদিন থেকে দেখা নেই সূর্যের; কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত

দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গত চার দিন থেকে মাঘের শীত ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা এ জনপদ। ফলে গত চার দিন থেকে দেখা নেই সূর্যের। শীতের তীব্রতা ও কনকনে ঠান্ডায় সবচেয়ে কাহিল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সব থেকে বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা।
জেলা জুড়ে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে গেছে এ অঞ্চলে। বিশেষ করে জেলা ১৬ টি নদ-নদীর বর্তী চরাঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। ওই সব অঞ্চলে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন শীতজনিত রোগে। অনেকে ঠান্ডার প্রকোপ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফুলবাড়ী উপজেলা নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক সিদ্দিক খন্দকার জানান, বাহে চার পাঁচ দিন থেকে সেই ঠান্ডা। শীতের কারণে আলি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঠান্ডায় হাত পা বরফ হয়ে গেছে তার পরেও ক্ষেত রক্ষা করতে কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করছি। যাচ্ছে। জানি না সূর্যের দেখা মিলবে কবে।

একই এলাকার দিন মজুর কাশেম আলী জানান, বাহে গরীব মানুষের ঠান্ডায় বাড়িতে বসে থাকলে পেট চলবে না। তাই যতই ঠান্ডা হোক না কেন আমার কাজে যেতে হয়। কারণ কাজ না করলে সংসার চলবে কি করে। এই ঠান্ডায় কি কম্বল পাননি এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, কে আমাদের কম্বল দিবে বাহে। শুনি অনেক মানুষ কম্বল পাইছে। কিন্তু আমরা এখনো কম্বল পাইনি।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলার ৯ উপজেলায় ৩৪ হাজার ৭২২টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদা ভেদে বিতরণ কাজ চলমান রয়েছে।

এপ্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল ছিল ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email