১০ ট্রাক অ’স্ত্র মা’মলায় চট্টগ্রামের একজনের মুক্তি

 

চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনের মামলায় খালাস পেয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক। একই মামলায় কাশিমপুর ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও পাঁচজন। এছাড়া সাজা কমানো জাতীয় পার্টির নেতা পটিয়ার হাফিজুর রহমান দুই মাসের মধ্যে মুক্তি পাবেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন কে এম এনামুল হক।

অন্যদিকে, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ মুক্তি পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এছাড়া, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার (অব.) সাহাবুদ্দিন আহম্মদ, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে এনএসআইয়ের সাবেক ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের সাবেক এমডি মহসিন উদ্দিন তালুকদার, এনএসআইর সাবেক ডিজি ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডাইরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন মেজর (অব.) এম লিয়াকত হোসেন।

চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জন খালাস পান। পরে ১৪ জানুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ পাঁচজনের সাজা কমানোর রায় দেন।

রায়ে যাবজ্জীবন পাওয়া ১৪ জনের মধ্যে পরেশ বড়ুয়ার সাজা ১৪ বছর করা হয়েছে। আর চার আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। তাঁরা হলেন— জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার তৎকালীন মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, এনএসআইয়ের সাবেক উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, তৎকালীন পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ ও হাফিজুর রহমান।

কারাগার সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির নেতা হাফিজুর রহমান অস্ত্র মামলায় এরই মধ্যে ১০ বছরের অধিক সময় ধরে সাজা খাটছেন। কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে আগামী দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে তিনিও মুক্তি পেতে পারেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন।

এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের। অস্ত্র আইনে করা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক আপিল করেন আসামিরা।

 

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email