নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। রাত নামলেই কোথাও না কোথাও ঘটছে একাধিক চুরির ঘটনা। খোয়া যাচ্ছে বসতবাড়ির মালামাল, রাবার, ছাগল আর কৃষকের গবাদিপশু। চোরেরা হানা দিচ্ছে ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। এমনকি রেহাই পাচ্ছে না মসজিদের দানবাক্স। শীতের মৌসুমে চোরের এমন উপদ্রবে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে।
জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়নের তিতারপাড়ার ব্যবসায়ি মোঃ মনু’র রাবারের সিট চুরি হয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ মনু বলেন, বাগানে শুকাতে দেওয়া ২৭১৩ পিস রাবার সিট চুরি হয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ি নুরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় চরার জন্য ছাগল খামার থেকে ছেড়ে দিলে মাঠ থেকেই চুরি করে নিয়ে যায় দুই টি ছাগল। এবং এর দুই দিন পরে আবার মাঠে চরতে গেলে তিনটি ছাগল মাঠ থেকেই চুরি করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মোঃ রফিক বশরী জানান, আমার রাবার বাগান থেকে অনেকবার রাবারের সিট চুরি হয়ে গেছে আমার মত অনেক রাবার ব্যবসায়ির রাবারের সিট চুরি হচ্ছে। তিনি বলেন, মসজিদের দান বক্স, মটর, কৃষকের গবাদি পশু সহ সবকিছুই অনিরাপদ হয়ে পড়ছে। চুরির বিষয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক নুরুল আলম বলেন, রাতে বাড়ির সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় গোয়ালঘর থেকে প্রায় ৯০,০০০ (নব্বই হাজার) টাকা দামের একটি ষাড় চুরি করে নিয়ে যায়। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও ঐ ষাঁড়টা পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, মাদকের অবাধ বিস্তারের কারণে দিনদিন উঠতি বয়সী তরুণরা আসক্ত হচ্ছে এবং নেশার টাকার জোগান দিতেই জড়িয়ে পড়ছে চুরিসহ নানা অনৈতিক, অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মোঃ মাশরুরুল হক চৌধুরী বলেন, চুরির বিষয়ে কেউ থানায় জিডি বা মামলা করেনি। এ বিষয়ে অভিযোগ আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং চুরি-ডাকাতি রোধে পুলিশ জোরালোভাবে কাজ করছে।