নাইক্ষ্যংছড়িতে কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে বেহাত

 

পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি দখলে নিয়েছে এক যুগের অধিক সময় ধরে। বর্তমানে পাকা স্থাপনা করছে এ সম্পত্তিতে। জমির অবৈধ দখলদার জনৈক কবির আহমদ উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তার কর্মচারী পরিচয় দিয়ে এ অপকর্ম করছে প্রকাশ্যে।
যা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা সদরের জেলা পরিষদ রেষ্ট হাউজের দক্ষিণে উপবন পর্যটন লেক সড়কের পুর্বপাশে নুরুল বশর মাস্টারের পশ্চিমাংশ লাগোয়া কোটি টাকার জমি ও স্থাপনার অবস্থান। এ জমিটিতে সরকারী টাকায় নির্মিত ভবনও দাড়িয়ে আছে যুগের অধিক ধরে। যেটি সরকারী মুরগী খামার হিসাবে পরিচিত দীর্ঘদিন ধরে। যা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের এক কর্মকর্তা স্বীকার করেন এ প্রতিবেদকের কাছে। অবশ্য তিনি এও বলেছেন এটি প্রানী সম্পদ অফিসের জমি না এটি উপজেলা প্রশাসনের।

এদিকে এ জমিটিকে মুরগীর খামার এলাকা হিসেবে চেনেন স্থানীয়রা। কারণ এ জমিতে সরকার আরো কোটি টাকা খরচ করে খামার ও স্থাপনা করেছিল এক সময় । আর সে খামারের কর্মচারীই আজ মালিক বনে যাচ্ছে প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে।

স্থানীয়রা বলেন, এটি সরকারের দখলীয় জমি। যুগের অধিক সময় ধরে এ জমিতে পাহারাদার হিসেবে বেতন নিয়ে কবির আহমদ নামের সে ব্যক্তিটি এ কান্ড ঘটাচ্ছেন। যিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ডের কর্মচারীর পরিচয় দিয়ে আসছে সর্বত্র। এ প্রতিবেদক তার কাছ থেকে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি জানান এখনও ইউএনও বাসার কাজ করে আসছেন তিনি। কবির আহমদ আরো জানান, এটি সরকারী জমি। তিনি পাহারাদার হিসাবে আছেন দেড় যুগ ধরে। পাকা ঘর নির্মান বিষয়ে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেন নি। আর বৈধ কোন কাগজপত্রও দেখাতে পারেন নি। তবে নানা ফন্দি এটে ও সম্প্রতি প্রশাসনের রদবদলে আর ৫ আগষ্টের পর প্রশাসনে ব্যস্থতা বেড়ে যাওয়ায় কবির আহমদ লোপে নেয় সুবর্ণ সুযোগ। সে সরকারী এ জমিটিতে পাকা ঘর নির্মান করতে শুরু করে।

সরেজমিন গিয়ে একদল সাংবাদিক দেখতে পান রাজমিস্ত্রি সেখানে তাড়াহুড়ো করে ইট দিয়ে গাথুঁনির কাজ করছে। পাকা ওয়াল নির্মান করে ভাড়া বাসা তৈরীতে তোড়জোড় করছে। যা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেশী এক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারী কোটি টাকার সম্পদ এভাবে বেহাত হবে ভাবতেও অভাক লাগে।
স্থানীয় সমাজপতি অধ্যক্ষ জালাল ফারুখ বলেন, সকলেই জানেন এটি সরকারের জমি। যার মূল্য কোটি টাকা হবে। এক সময় তৎকালীন ইউএনও মহোদয় কবির আহমদকে পাহারাদার হিসেবে অস্থায়ীভাবে রাখলেও এখন কীভাবে আছে আর কিভাবে স্থাপনা করছেন সেটা তিনি বলতে পারেন না।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান ইতুর সাথে ক্ষুদেবার্তা ও ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email