৮ জানুয়ারি বুধবার ইপসা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নস অফ দ্যা এনভায়রনমেন্ট ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়।এসময় ১০টি সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এই ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নস অফ দ্যা এনভায়রনমেন্ট এওয়ার্ড প্রাধান করা হয়। সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো হল, এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন, কায়ো বাংলাদেশ, ইকো নেটওয়ার্ক, লাল সবুজ সোসাইটি, রাজাখালী উন্মুক্ত পাঠাগার, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট, ইয়ুথ এ্যালায়েন্স ফর সাসটেইনবল ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, ইয়ুথ কনজারভেশন নেটওয়ার্ক, ইয়ুথ পজিশন ইন বাংলাদেশ এবং ইয়ুথ ভয়েজ ফর চেঞ্জ। উক্ত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে।
ইপসা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী মো আরিফুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর পরিচালক শামিমা আক্তার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিফাত বিনতে আরা সহকারী কমিশনার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
এর পর শুরু হয় জুরিবোর্ডের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া ১০টি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পরিবেশ সুরক্ষায় তাদের কার্যক্রমের উপর উপস্থাপনা। উল্লেখ্য, এই আয়োজনে প্রায় ২০০’র অধিক যুব ভলেন্টিয়ার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংশ নেয়, সেখান থেকে ১০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে চুড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয় ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নস অফ দ্যা এনভায়রনমেন্ট ২০২৪’ অংশগ্রহণের জন্য।
এদিকে অনুষ্ঠানে যুবদের দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য আয়োজন করা হয় প্যানেল আলোচনা। প্রথম প্যানেলের বিষয়টি ছিল পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জাতীয় কৌশল এবং বৈশ্বিক নীতিমালা বিষয়ক। ইপসা’র সহকারী পরিচালক ও ইয়ুথ ফোকাল আব্দুস সবুর এর সঞ্চালনায় উক্ত প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম এর পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরিন, ইউনিলিভার বাংলাদেশ এর পরিচালক শামিমা আক্তার, চুয়েট এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আসিফুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাজ সুলতানা। উক্ত প্যানেল আলোচনায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোহাম্মদ শাহ জাহান, পরিচালক, ইপসা। উক্ত আলোচনায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠননের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
পরিবেশগত সুরক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বৈশ্বিক সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপের প্যানেল আলোচনা, ইপসা’র প্রোগ্রাম অফিসার সেতার রুদ্রর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইন, ইয়ুথনেট গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী জনাব সোহানুর রহমান, সাউথ এশিয়ান মভিলাইজেশনের কো-অর্ডিনেটর আমানুল্লাহ পরাগ এবং উই কেন এর প্রতিষ্ঠাতা ওমর ফারুক জয়।
অনুষ্ঠানের শেষে, জুরিবোর্ডের মাধ্যমে বিচার বিশ্লেষণ করে নির্বাচিত হওয়া ১০টি সেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এই এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এওয়ার্ড প্রাপ্ত সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো হল, এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন, কায়ো বাংলাদেশ, ইকো নেটওয়ার্ক, লাল সবুজ সোসাইটি, রাজাখালী উম্মুক্ত পাঠাগার, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট, ইয়ুথ এ্যালায়েন্স ফর সাসটেইনবল ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, ইয়ুথ কনজারভেশন নেটওয়ার্ক, ইয়ুথ পজিশন ইন বাংলাদেশ এবং ইয়ুথ ভয়েজ ফর চেঞ্জ।
অন্যদিকে এওয়ার্ড প্রাদান অনুষ্ঠানের ইয়ুথদের পক্ষ থেকে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন, আরফা নাওয়ার রহমান, ইয়ুথ কোডিনেটর, ইপসা এবং আয়োজকদের পক্ষ থেকে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন পলাশ চেীধুরী, পরিচালক, ইপসা ও এস এম ফয়সাল, ম্যানেজার, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড।
এই আয়োজন যুবদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জুগিয়েছে, ইপসা মনে করে এই এওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে ইয়ুথ সংগঠনগুলো আরো বেশি করে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় সামাজিক ও মানবিক কাজে অংশ নিবে। সংগঠনগুলোর এইসব কাজে দেশের টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশের সংরক্ষণ নিশ্চিত হবে। এই প্রোগ্রামে অংশ নেয় বৃহত্তর চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রায় তিন শতাধিক যুব প্রতিনিধিবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীসহ , সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
