পাহাড়ি জনপদ নাইক্ষ্যংছড়ির সিমান্ত ঘেঁষা ঘুমধুম ইউনিয়নে অবৈধ করাতকলে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ-সময় দু’টি করাতকলের মালিক’কে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে এবং ৫ হাজার ঘনফুট আকাশমনি কাঠ জব্দ করে বন বিভাগের জিম্মায় দিয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারী) দিনের ১২ টারদিকে এ অভিযান পরিচালনা করে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আজুখাইয়া এলাকার আবুল কালাম মেম্বারের করাতকলে ৫ হাজার এবং ফরিদুল আলমের করাতকলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ফরিদুল আলমের করাতকলে কাগজপত্র বিহীন মজুদকৃত প্রায় ৫ হাজার ঘনফুট আকাশমনি গাছ জব্দ করা হয়।এসব গাছ বনবিভাগের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার কমিশনার (ভুমি) ইশরাত জাহান ইতু’র নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা কালে সাথে ছিলেন বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সরকার, ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাব-ইন্সপেক্টর নাঈম উদ্দিন, আবুল কাসেম, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আনসারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, পরিবেশ বিনষ্টকারী অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এদিকে ঘুমধুমে ৪টি ইট ভাটার কার্যক্রম চলমান। একটি ভাটায় বারবার অভিযান, জরিমানা ও ক্ষতিসাধন করে আসছে। অপর ৩ টিতে রহস্যজনক ভুমিকা পালন করছে। ফলে অভিযান নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এক্ষেত্রে কোন মহল প্রশাসনকে প্রভাবিত করে শুধু একটি ভাটায় অভিযান দেখিয়ে অপর ৩ টি ইটভাটা থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করছে একটি চক্র, তা নিয়ে ইটভাটার শ্রমিকদের পাশাপাশি সচেতন মহল’কে ভাবিয়ে তুলছে।