আলোচিত নাইক্ষ‍্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের মানুষ চায়, নতুন বছর ঝামেলা বিহীন এক নিস্তব্ধ-শান্ত পরিবেশ

 

বান্দরবানের নাইক্ষ‍্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্ত রয়েছে প্রায় ৫৭ কিলোমিটার ঘুমধুম থেকে টারগুছড়া পযর্ন্ত। এই সীমান্ত এলাকার বেশ কয়েকটি সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে ২০২৪ পযর্ন্ত কয়েক বছরে ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ঘটনা। মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে রকেট লাঞ্চার ঘুমধুম এলাকার বসত বাড়িতে এসে আঘাত হেনে আহত নিহতের মত ঘটনা ঘটিয়েছে। আবার মিয়ানমার থেকে উড়ে আসা গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামছড়ি ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সাবের সহ কয়েকজন ব্যক্তি। বেশ কিছুদিন পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুদ্ধ চলেছে আরকান আর্মি এবং জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত বাহিনী গুলোর মধ্যে। যুদ্ধ চলাকালীন ওই সময়ে বিদ্রোহী আরকান আর্মির সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে টিকতে না পেরে মিয়ানমার সেনা সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও বিজেপির বহু সদস্য সশস্ত্র অবস্থায় এবং নিরস্ত্র অবস্থায় বেশ কয়েক দফায় প্রাণ রক্ষার্থে নাইক্ষ‍্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের ভিতরে এসে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির কাছে আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মিয়ানমার সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয় সফলতার সঙ্গে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা, এ খবর লেখা পর্যন্ত নাইক্ষ‍্যংছড়ির কোন সীমান্ত এলাকা দিয়ে গোলাগুলি বা বিস্ফোরণের কোনো আওয়াজ শুনা আসেনি বলে জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী মানুষেরা। ঘুমধুম এলাকার মোঃ আবছার, সরোয়ার বলেন, নতুন বছরে আমরা মনে প্রানে চাই আগেকার মত মিয়ানমার থেকে বিশাল আকারের গোলাবারুদ বিস্ফোরণের আওয়াজ এসে আমাদের জনপথ কাঁপিয়ে না তুলুক। জামছড়ির ইউপি সদস্য মোঃ সাবের বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে আসা গুলিতে আমি কোমরে গুলিবিদ্ধ হয়েছি সে আতঙ্ক আমার মনে এখনো কাজ করছে, সে বিবেচনায় আমি চাই নতুন বছর ২০২৫ আমাদের সীমান্ত হোক একেবারে শান্ত ও আতঙ্ক মুক্ত।

উল্লেখ্য, বর্তমানে মিয়ানমার জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত বাহিনী গুলোকে যুদ্ধের মাধ্যমে পিছু হটিয়ে সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার অংশ শতভাগ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সদস্যরা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email