বরগুনার বামনা উপজেলার চলাভাংগা দাখিল মাদ্রাসার ভবনের মেঝেতে রাতের অন্ধকারে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় রেখে যাওয়া নবজাতককে দেখতে পান স্থানীয় গ্রামবাসী। মাদ্রাসা সংলগ্ন এক নারী শিশুটি উদ্ধার করে এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ডৌয়াতলা সৌদি প্রবাসী হাসপাতালে নিয়ে যান।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতের আঁধারে কে বা কারা ডিএসআর দাখিল মাদ্রাসার ভবনের নিচতলার মেঝেতে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় রেখে যায় সদ্য নবজাতক এক শিশুকে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে নবজাতক শিশুটিকে মাদ্রাসার মেঝেতে দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। তবে শিশুটি বেঁচে নেই ভাবেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই। তবে মাহফুজা বেগম এক নারী ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার করে শিশুটিকে এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ডৌয়াতলা সৌদি প্রবাসী হাসপাতালে নিয়ে যান। মাহফুজা বেগম বলনে ‘ প্রথমে দেখে মনে হয় নি শিশুটি বেঁচে আছে, পরে নিজের সন্তানের মতো করেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. নিখাত আরা এবং সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ডৌয়াতলা সৌদি প্রবাসী হাসপাতাল থেকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শিশুটি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। শিশুটিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের আইসিইউতে রাখা হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির সুস্থতা নিশ্চিত করেছেন।
শিশুটির সম্পর্কে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. নিখাত আরা বলেন,‘বর্তমানে শিশুটি সুস্থ আছে, জেলা কমিটির সিদ্ধিন্ত অনুযায়ী শিশুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থ নেওয়া হবে।’