নরসিংদীতে ছোট মাধবদী এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আলতাফ বাহিনীর হাতে মারধর ও লাঞ্চনার শিকার ফারুক নামে এক ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে থানায় গিয়েও বিচার পায়নি বলে জানান ভুক্তভোগি ফারুক মিয়া। অভিযুক্ত আলতাফ বলেন, ফারুক এর লোকজনদের কাছ থেকে বাঁচতে দুই পক্ষের মারামারি হয়। জমি জমার বিরোধ আইনের মাধ্যমে সমাধান হবে।
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৮ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে আলতাফ এর বাড়িতে নির্যাতিত হয় নার্গিস আক্তার। এসময় ফারুকের বড় ছেলে জোবায়ের তার মা নার্গিসকে বাঁচাতে এসে রক্তাক্ত জখম। এসয় আলতাফ গংদের হামলায় আহত হয় ফারুকের পরিবারের সবাই।
আহত জোবায়ের বলেন, তাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ আলতাফের। এই বিরোধের জের ধরে তার বাবা ফারুককে হত্যা করে গুম করে ফেলবে এমন হুমকি দিয়ে আসছে আলতাফ হোসেন। পরে আমার মা ঘটনার দিন সকালে আলতাফের বাড়িতে এসব বিষয়ে জানতে যায়। এসময় আমার মাকে ঘরে বন্ধি করে নির্যাতন করে ও কোরবানির ছুড়ি নিয়ে হত্যা করতে চাইছিল তারা। আমরা মই দিয়ে দেয়াল টপকে ভিতরে গেলে আমাদের উপর হামলা করে আলতাফ ও তার লোকজন। আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় তারা। আমার মা সহ সবাইকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় পুনরায় হাসপাতালের ফটকে আমার বাবাকে সহ আমাদের মারধর করে আলতাফ ও তার বাহিনীর লোকজন। বর্তমানে আমরা বিচার হীনতায় ভুগছি।
ভুক্তভোগী ফারুক জানান, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওয়ারিশ করেন ভাগহাটা এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে আলতাফ হোসেন। পর ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ফারুকের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে আলতাফ হোসেন। এরপর থেকে তাদের মাঝে বিরোধ তৈরী হয়। পরে আলতাফ গংদের হাতে দফায় দফায় হামলার শিকার হয়েছেন তিনি সহ স্ত্রী নার্গিস আক্তার, ছেলে জোবায়ের (২০), রিফাত(১৭), কণ্যা শিশু ফারিয়া আক্তার(৭)। বিচার চেয়ে মাধবদী থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও আমলে নেয়নি পুলিশ। উল্টো আলতাফ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি আলতাফ বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে মানুষের ধারে ধারে ঘুরছেন। এছাড়া প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন বলেন, আমি জমি কিনে বাড়ি করে দখলে আছি। ফারুক আমার বাড়িতে হামলা করে ও সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে লুটপাট করেছে। আমি এ বিষয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আমাদের বিষয়টি থানা পুলিশ সহ বিএনপির নেতাকর্মীরা অবগত আছেন। ফারুক যে জমি দাবি করছেন তা আমার খড়িদা সম্পত্তি।
সদ্য যোগদানকৃত মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অবগত নন তিনি। তবে দুই পক্ষকে ডেকে খতিয়ে দেখে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।