আজ ১৮ ডিসেম্বর রাজবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস

 

আজ ১৮ ডিসেম্বর রাজবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস। রেলের শহর রাজবাড়ী হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের সময় বিহারী ও অবাঙ্গালিদের ঘাটি ছিলো মজবুত। যে কারণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় পুরো শহর দখলে নেয় বিহারিরা। নির্বিচারে চালাতে থাকে জ্বালাও পোড়াও ও গণহত্যা।

মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, রাজবাড়ীতে ৬ ডিসেম্বরের পর থেকে অত্যাচারের মাত্রা বাড়াতে থাকে বিহারিরা। নির্মমভাবে হত্যার পরে মরদেহ ফেলে দেওয়া হতো কুপের মধ্যে। এরপর ১৯৭১ সালের ১৬, ১৭, ও ১৮ ডিসেম্বর তুমুল যুদ্ধ হয় বিহারিদের সাথে। এই যুদ্ধে মাগুরা, পাংশা গোয়ালন্দ ও রাজবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেয়। এতে মারা যায় রফিক, শফিক ও সাদিকসহ ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। বিহারী ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা হয় ১৯ জন নারীকে। পরে ১৮ ডিসেম্বর পরাজয় মেনে আত্নসর্মপন করেন বিহারীরা।

রাজবাড়ীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার কামরুল হাসান লালী বলেন, সারাদেশে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পতাকা উড়লেও রাজবাড়ী মুক্ত হয় ১৮ ডিসেম্বর। পাকিস্তানিরা পিছু হটলেও বিহারিরা অত্যাতার চালাতে থাকে। রেলের শহর হওয়ায় শহরের নিউ কলোনী, লোকোসেডসহ বেশ কিছু যায়গায় ঘাটিঁ ছিল বিহারিদের। তারা অত্যাধুনিক সব ধরনের অস্ত্রে ছিলো সুসজ্জিত। যে কারনে কিছুতে পরাজয় মেনে নিচ্ছিলো না তারা।

মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজবাড়ীর ৩৭৯ জন মুক্তিযোদ্ধা সরাসরি অংশ গ্রহণ করেন, আর ওই সময়ে মারা যান ৩৫ জন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email