মেলার জন্য নিজস্ব মাঠ খুঁজে বের করবো- বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের নিজস্ব সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সবার মতামতের ভিত্তিতে মেলার জন্য একটি স্থায়ী মাঠ খুঁজে বের করবেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন পরিত্যক্ত শিশুপার্কে ৬ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা শুরু হয়েছে। বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্তিতে ‘চলো দুর্জয় প্রাণের আনন্দে’ — প্রতিপাদ্য নিয়ে এ মেলার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।

বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুধু কর্মের মধ্যে থাকবো না। আমাদের যে নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে এই সংস্কৃতির বহিপ্রকাশ মেলাতেই হয়ে থাকে। ফলে এমন একটি স্থান আমরা খুঁজে বের করবো সকলের মতামত নিয়ে। কেননা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের কাজ হচ্ছে আপনাদের চাওয়া পাওয়াকে রুপায়ন করা’।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি সেখানে বৈষম্যমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়ার আমাদের প্রত্যয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতি  আমাদের কালচার সবকিছুকে তুলে ধরতে হবে। আর তুলে ধরার জন্য সত্যিই একটি মেলার মাঠের প্রয়োজন। যেখানে আমরা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেই মাঠে বইমেলাসহ বিভিন্ন মেলার উদযাপনও যাতে করতে পারি।’

এ সময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও বিজয়মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ফরিদা খানম বলেন, ‘চট্টগ্রাম সংস্কৃতি ও কালচারে ভরপুর একটা জেলা। এখানে প্রতিবছর বাণিজ্য মেলা হয়, বিজয় মেলা হয়। আমাদের সবোর্চ্চ চেষ্টা থাকবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে যাতে একটা খেলার মাঠ ও একটা মেলার মাঠ স্থায়ীভাবে যাতে করতে পারি।’

এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘খেলার মাঠকে গুরুত্ব দিয়েছি বলেই মেলাটাকে আমরা এখানে সরিয়ে এনেছি। আমরা ভবিষ্যতেও এই মাঠটাকে সংস্কারের আওতায় রাখবো এবং মাঠটাকে আরও বেশি খেলার উপযোগী করার জন্য পর্যায়ক্রমে সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email