চলতি ২০২৪ পিঁয়াজ মৌসুমে রাজবাড়ী জেলার প্রতিটি উপজেলায় কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রনোদনার পেঁয়াজ বীজ ও সার বিতরন করা হয়েছে।
কালুখালী উপজেলাতে ও প্রতিজন কৃষককে ১ কেজি করে বারী ৪ জাতের পিঁয়াজ বীজ বিতরন করা হয়। কিন্তুু এ বীজ কোথায় ও অঙ্কুরোদগম হয় নাই। ভঙ্গ হয়েছেন এ উপজেলার হাজারো পিঁয়াজ চাষির স্বপ্ন।
আবার এই বীজ পেয়ে কোথাও কোথাও বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনি একটি অভিযোগ উঠেছে কালুখালীর মাজবাড়ী ইউনিয়নের মাজবাড়ী সরকারী প্রার্থমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে। কৃষি প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজ গ্রহণ করে তিনি তা চড়া দামে বিক্রি করেছেন । শিক্ষক আক্তারুজ্জামান একই ইউনিয়নের চরকুলটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। এ জাতের বীজ বপন না করে তা তিনি ৩৫০০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন জনৈক ব্যক্তির কাছে।
স্কুল শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি প্রাপ্ত বীজ বপন করেছি। কোথায় বপন করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনাদের কাছে এসব কথা বলতে আমি কোনপ্রকার বাধ্য নই।
তিনি প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে বলেন, এ বিষয় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে আপনাদেরকে দেখে নিবো।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আক্তারুজ্জামান স্কুল শিক্ষক হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে অনেক। এখনো তার সেই আমলের দাপট কমেনি একটুও। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের দাপট দেখিয়ে চলেন এখনও।
বীজ বিক্রির বিষয়ে মাজবাড়ী ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা রিপন জানান, সরকারী বীজ বিক্রির কোন সুযোগ নেই। সে যদি এরকম কাজ করে থাকে তাহলে আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে আমি অবগত করবো। এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।