এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন চট্টগ্রামে শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের রক্তে আবারো পূর্বের মত ঐক্যবদ্ধ হয়েছে জাতি। যেমনটা হয়েছিল জুলাই-আগষ্টে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, একটি বিশেষ গোষ্টি, বিশেষ মহল ও একটি বিশেষ রাষ্ট্র সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট জন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রেপাগান্ডা চালাচ্ছে।এভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে।
এটর্নী জেনারেল আরও বলেন, নানা অজুহাতে মিথ্যা মামলা হচ্ছে, এটা অস্বীকার করছি না। তবে, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের মত এই মামলা রাষ্ট্র কিংবা পুলিশ করছে না। বরং সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মামলা মানেই গ্রেপ্তার নয়। তদন্ত এবং যাচাই-বাচাই শেষে প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হবে।আমরা ন্যায় বিচারের দ্বার সবার জন্য উম্মুক্ত রেখেছি।ইসকনের হামলায় চট্টগ্রামের এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা ও সনাতনী জাগরণ মঞ্চের নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি বড় ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়িত। অভিযোগটা যেহেতু গুরুতর তাই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতবিনিময়ের আগে এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানসহ ঢাকা থেকে আসা সিনিয়র আইনজীবি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অতিরিক্ত এটার্নী জেনারেল আরশাদুর রউফ, গণফোরামের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী,বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট বদরুল আনোয়ার লোহাগাড়ায় যান এবং এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জেয়ারত করেন।চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তবর্তী কমিটির আহবায়ক জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও অন্তবর্তী কমিটির সদস্য গ্লোবাল টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, অন্তবর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম, এনটিভির ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, সিএমইউজের সাধারন সম্পাদক সালেহ নোমান ও ওয়াহিদ জামান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাসেল আহমদ। একাত্তর টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান সাইফুল ইসলাম শিল্পী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ ও শাহনেওয়াজ রিটন, দৈনিক বায়েজিদের ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন।