দরিদ্র নারী কৃষকের ৪৮ শতাংশ ক্ষেতের ধান কেটে দিয়েছেন আনসার সদস্যরা।
সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলা আনসার (ভিডিপি) এর প্রশিক্ষক মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল আনসার সদস্য উপজেলার হাজীর বাজার এলাকায় হত দরিদ্র নারী হীরা বেগমের ৪৮ শতাংশ জমির ধান কেটে দেন। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকামাকড় ও রোগবালাই দেখা না দেওয়া কৃষানী হীরা বেগমের চাষাবাদ করা ধান ক্ষেত বেশ ভালো হয়েছে। ফলন আশানুরূপ মিলবে বলে বুক বেঁধেছেন ওই নারী কৃষানী।
ইতোমধ্যে আবাদকৃত ধান কাটার উপযোগী হয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি (কৃষক) আর্থিক শ্রমিক সংকটে ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছিলেন না। পরে তিনি উপজেলা আনসার ও (ভিডিপি) এর প্রশিক্ষক মমিনুল ইসলাম বিষয়টি অবগত করেন।
পরে ওই নারী কৃষকের জমির ধান কেটে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। এরপর আনসার প্রশিক্ষকের নেতৃত্বে সোমবার জমির পাঁকা আমন ধান কেটে দিয়েছেন।
হতদরিদ্র নারী হীরা বেগম জানান, গত সাত থেকে ৮ দিন আগেই জমির ধান পেকেছে। এক দিকে অর্থনৈতিক সংকট অন্য দিকে ধান কাটা শ্রমিকেরও সংকট। ফলে আমি চরম দুচিন্তায় পড়েছি। এক পর্যায়ে আমি উপজেলা আনসার ভিডিপির প্রশিক্ষক (স্যার) কে বিষয়টি অবগত করি। পরে স্যারের নেতৃত্বে আমার ৪৮ শতাংশ জমির ধান কেটে দেন। আমি স্যারের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। স্যার নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ।
স্বেচ্ছাশ্রমে ওই নারীর ধান কেটে দেয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে উপজেলা আনসার ও (ভিডিপি) এর প্রশিক্ষক মমিনুল ইসলাম তিনি জানান, ওই নারী খুবই গরীব। তিনি আমাদের ওই ওয়ার্ডের একজন আনসার সদস্য। যখন ওই নারী আমাকে বলেন অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জমির পাকা ধান কাটতে পারছি না। তখন আমি সঙ্গে সঙ্গে বলি ঠিক আছে কোন প্রকার দুচিন্তায় করবেন না। দুই এক দিনের মধ্যে আপনার ধান কাটার ব্যবস্থা করা হবে। তাই সোমবার সকালে গিয়ে বড়ভিটা ইউনিয়নের ১০ থেকে ১২ জন আনসার সদস্য মিলে অসহায় দরিদ্র নারীর কৃষকের ধান কেটে দেয়া হয়েছে। ধান শুকানোর পর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ায় হবে বলে জানান তিনি।