অবশেষে রাঙামাটিতে শেখ মুজিবুর রহমানের সুউচ্চ ভা’স্ক’র্যটি ঢেকে দেয়া হয়েছে

অবশেষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের সুউচ্চ ভাস্কর্যটি ঢেকে দেয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ৩ মাস ১০ দিন পর শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি ঢেকে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

প্রায় ৪কোটি টাকা ব্যয়ে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে শহরের সেনা জোন ও উপজেলা পরিষদের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ভাস্কর্যটি প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো হয়েছে।

২০১৩ সালে তৎকালিন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে নির্মিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি নির্মাণ কাজে ব্যাপক অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠে।

এবিষয়ে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব ভাস্কর্য ছিল পুঁজিবাদী চিন্তা-চেতনার প্রতীক। তাদের ভাষায়, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী এসব প্রতীক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আদর্শের সঙ্গে যায় না। তাই এগুলো সরানো জরুরি।

উল্লেখ্য, এর আগে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পূর্বে দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ হাজারের বেশি ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি স্থাপন করে আওয়ামী লীগ সরকার। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে টানা ১৫ বছর ধরেই ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতি তৈরির মহোৎসবে মেতে উঠেছিল দলটি। এই কর্মে উদ্যোগী ভূমিকা ছিল স্থানীয় প্রশাসনেরও। অনেক সংস্থা নিজ উদ্যোগেও এগুলো তৈরি ও স্থাপন করে। তার ধারাবাহিকতায় তৎকালিন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ রাঙামাটিতে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য নির্মাণ করে। জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১০-১১ অর্থবছরে ৩০ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও এর আশেপাশে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৩১ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ১২ ফুট প্রস্থের ভাস্কর্যটি নির্মাণে প্রথম ধাপে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। পরবর্তীতে ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ঘঁষামাজা, ফিনিশিং, রেলিং, টাইলস, প্রতিবন্ধক দেওয়ালসহ আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ আরো দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসেবে ভাস্কর্যটি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো প্রায় ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email