ঈদগাঁওর ইউ এন ওকে এবার কথিত জনপ্রতিনিধিদের বি’দায় সং’ব’র্ধ’না!

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার বিদায়ী ইউএনও সুবল চাকমা ইতিমধ্যে উপজেলাবাসীর নিকট আওয়ামী দোসর ও জনধিক্কিত কর্মকর্তা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। কর্মস্থল ত্যাগের পূর্বে তিনি আরো একবার কথিত বিদায় সংবর্ধনা আদায় করে নিয়েছেন। এ অনুষ্ঠানের সংবাদ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ পেলে উপজেলা জুড়ে পুনরায় আলোচনা- সমালোচনার ঝড় উঠে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের সংগঠন ব্যানারে একটি প্রতিষ্ঠানের হল রুমে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কপিতপয় চেয়ারম্যান ও উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ইউপি সদস্যবৃন্দ ও কিছু নব্য দালাল উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে বিদায়ী ইউএনও সুবল চাকমার বিগত এক বছরের আওয়ামী দোসরদের পক্ষ হয়ে নগ্নভাবে যা করেছেন, তার পরিবর্তে বক্তব্য দেয়া কতিপয় জনপ্রতিনিধি তাকে জনগণের সেবক এবং ঈদগাঁও উপজেলার উন্নয়নে তিনি যে বায়বীয় অবদান রেখেছেন, তার কিছু গালগল্প করেছেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষেরা শুনে ওই সব জনপ্রতিনিধিদের ধিক্কার দেন। ঈদগাঁওর কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও দালাল চক্র এসব দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের তোষামোদ করার কারণে এলাকার কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি। বরং দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের সরকারের বরাদ্দকৃত উন্নয়নের পরিবর্তে নিজের আখের গোছানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। যার আরেকটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে বিদায়ী ইউএনও সুবল চাকমা। যিনি বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে এক বছর পূর্বে ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়ে আওয়ামী চক্রের দোসর হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।

উপজেলার যাবতীয় বরাদ্দ নয়-ছয় করে উপজেলাবাসীর উন্নয়নে দৃশ্যমান কিছুই করেন নি। বরং উল্টো তার চারপাশে থাকা আওয়ামী দোসর দালাল শ্রেণিকে ব্যবহার করে নিজের পকেট ভারি করেছেন। সরকারী রাজস্ব আদায়ের স্থান গুলোকে কৌশলে আইনি মারপ্যাঁচে ফেলে আওয়ামী সিন্ডিকেট থেকে দফায় দফায় অনৈতিক অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে যাওয়ার আগ মুহূর্তেওে। বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে প্রকাশ্যে আন্দোলন দমনে এ আওয়ামী দোসর ছাত্র জনতার উপর হামলায় অংশ নেন এবং তুমুল সংঘর্ষের মধ্যে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেও সরকারি সম্পদ তার গাড়িটি আগুনে পুড়ে যায়। আওয়ামী সরকার পতন পরবর্তী তিনমাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও তিনি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রক্ষায় এখনে মামলা করেন নি। এছাড়া ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অচলাবস্থা জিইয়ে রাখার পেছনেও তার বিরুদ্ধে মোটা অংকের বাণিজ্যের অভিযোগ চাওর আছে।

ঈদগাঁও মাছ বাজারের পূর্ব অংশে শত বছরের ইজারায় রাজস্ব আদায় করা জায়গার উপর রাতারাতি ব্যক্তি মালিকানাধীন বহুতল ভবন নির্মাণ চলমান রয়েছে। এক কথায় উপজেলাবাসীর উন্নয়নে কিছু না করলেও উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা ও দালাল শ্রেণির জনপ্রতিনিধি থেকে তিনি সংবর্ধনা আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। যার কারণে এসব কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি সচেতন জনগণ ঘৃণা প্রকাশ করছেন। অভিযোগ সমূহের ব্যাপারে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চাকমাকে একাধিকবার ফোন করা হলও তিনি রিসিভ করেননি।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email