চলছে হেমন্তকাল। কার্তিক মাস শুরু হতেই আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাইক্ষ্যংছড়ি’র কৃষকেরা। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাচি হাতে কৃষকেরা ধান কাটতে মাঠে ছুটে যাচ্ছে। মাঠে গিয়ে দলবেঁধে কাটছেন স্বপ্নের পাকা আমন ধান।
কেউ কেউ কাটা ধান আঁটি বেঁধে মাথায় করে বাড়ির উঠানে নিয়ে ফেলছেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে স্বরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের কর্ম ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়। এদিকে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নস্থ করলিয়ামুরা’র কৃষক হুমায়ুন কবির, দেলোয়ার হোছাইন ও ছৈয়দ আলম জানান, গত ১৫ দিন ধরে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ব্যস্ত সময় চলছে আমাদের এলাকায়। সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে এভাবেই মাঠ থেকে আমন ধান ঘরে তোলার বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। ধান তোলার আনন্দে মেতে উঠেছে কৃষক পরিবারগুলো। অন্যদিকে নতুন ধানের ঘ্রাণে ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকার বাতাস। এবার পুরো নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৩৩ শত ৬২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে বলে কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়।
কৃষকেরা জানান, কার্তিক মাসে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে ওঠে আমন ধানের শীষ। এরপর থেকে শুরু হয়ে যায় পাকা ধান কাটা। তারা আরো জানান, এবার অসময়ে টানা বৃষ্টির কারণে আমন ধান নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছিলাম। তবে শেষমেষ তেমন ক্ষতি হয়নি। যদিও ফলন সামান্য কম হয়েছে আমার এতেই খুশি। যে ধান পেয়েছি তাদিয়ে সারা বছর নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বিক্রি করতে পারব।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমন ধান কর্তন পুরোদমে শুরু হয়েছে। এবার ফসলে ক্ষতিকর পোকার প্রাদুর্ভাব ছিল বেশি। তবে সঠিক কীটনাশক ব্যবহারে দমন হয় ক্ষতিকর পোকা। ফলে আমন ধানের কাঙ্ক্ষিত ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজারে ধানের যে দাম পাচ্ছে কৃষকেরা তাতে খুশি বলেও জানান।