বালিয়াডাঙ্গীতে অপহরণের ৬ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে অপহরণের ৬ দিন পর সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় সুমন আলী (২৩) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাত ১২টায় রুহিয়া থানার পূর্ব কুজি শহর গ্রাম থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারের পর অপহরণকারীর মূলহোতা সুমন আলীকে আটক করা হয়। আটককৃত সুমন আলী রুহিয়া থানার চাপাতি পাইকপাড়া গ্রামের মরহুম ধামালুর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল মহৎপাড়া গ্রামের এক কৃষকের নাবালিকা মেয়ে ও খোঁচাবাড়ী -২ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম ছাত্রীর ছাত্রীকে (১৪) গত ১৩ নভেম্বর বিকালে খোঁচাবাড়ী এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। তাকে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার বাবা বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি একটি সাধারণ ডাইরী করেন। তাকে অনেক খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তদন্ত দিবাকর অধিকারীর নির্দেশনায় এসআই রতন চন্দ্র পাল সঙ্গীয় ফোর্সসহ গত সোমবার দিবগগত রাতে রুহিয়া থানার পূর্ব কুজি শহর এলাকায় সুমন আলীর নানার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ভিক্টমকে ঊদ্ধার করার পর সুমন আলীকে আটক করে পুলিশের জিঞ্জাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে।

এব্যাপারে অপহিতা নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সুমন আলীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
আসামীরা হলেন-রুহিয়া থানার চাপাতি পাইকপাড়া গ্রামের মরহুম ধামালুর ছেলে আটককৃত সুমন আলী ও পলাতক আসামীরা হলেন- হাজী সাহের আলী স্কুল রাধানগর গ্রামের হতাসুর ছেলে মাজেদুল ইসলাম (৩৫), পূর্ব কুজি শহরের বাসিন্ধা হাসান আলী (৩৫), ফকির আলীর ছেলে জাফর আলী (৪০) ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল মহৎপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জামান রুপু (৩৬) সহ আরো ৪/৫ জন।

অপহরণকারীরা সকলে মিলে গত ১৩ নভেম্বর বিকাল সৌয়া ৪ টায় বাজারের ব্রিজের পার্শ্বে একটি সাদা মাইক্রোবাস নিয়ে ওৎ পেতে অপেক্ষামান থাকে এসময় সপ্তম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী এসে পৌছালে তাকে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায় সুমন আলীর নানার বাড়ীতে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email