“স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আমরা বাংলাদেশে বাকশাল, সৈরাচার ও ফ্যাসিবাদদের ক্ষমতায় দেখেছি। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭১ থেকে ৭৫ বাকশাল কায়েম করেছিল। সৈরাচার এরশাদের নয় বছরের শাসন আবার ১০ বছরের সাজাও আমরা দেখেছি।
বিগত ষোল বছরে গণতন্ত্র হত্যাকারী, খুনী, আয়না ঘরের কারিগর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের তান্ডব আজও জাতির সামনে তরতাজা বহমান।সৈরাচার এরশাদ ও তার জাতীয় পার্টি বিগত ষোল বছর ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিল।
গত ৫ আগষ্টের পর আজকের নতুন বাংলাদেশে কোন ফ্যাসিবাদ ও সৈরাচারকে আর জন্ম হতে দেওয়া হবেনা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাটহাজারী উপজেলার ৯ নং গড়দুয়ারা ইউনিয়ন শাখা আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা এসিসট্যান্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক ফজলুল করিম এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ড.আব্দুল হামিদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে আল্লার আইন ও রাসূলের সূন্নাহ রাষ্ট্রীয়ভাবে কায়েম না থাকায় সকল স্তরে মানুষ বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েমের জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে শোষনমুক্ত ও সৈরাচার মুক্ত শান্তির বাংলাদেশ। হবে আল কোরআনের বাংলাদেশ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ।
জামায়াতের গড়দুয়ার ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ডাক্তার একেএম নরুল কবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্থানীয় গড়দুয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে আয়োজিত সম্মেলনে সাবেক শিবির নেতা ও গড়দুয়ারা ইউনিয়ন জামায়াতের যুব সেক্রেটারী মো: জাহেদ চৌধুরী রিপনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের উপজেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, হাটহাজারী পৌরসভা আমির মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মিড়িয়া সেক্রেটারী এম এ বাশার। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী মেখল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা হাবিব উল্লাহ ইদ্রিস ,শিবিরের থানা সেক্রেটারী মো: রিয়াদ হোসেন, হাটহাজারী পৌরসভার সাবেক আমির এমএ মান্নান, পৌর জামায়াত নেতা মাষ্টার মাহমুদুল করিম, জামায়াতের গড়দুয়ারা ইউনিয়ন সেক্রেটারী জমির উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা প্রবাসী মো.আব্দুল্লাহ, তসলিম উদ্দিন চৌধুরী, মো.শরীফ উল্লাহ, আব্দুল কাইয়ুম সানি, ডাঃ রাশেদ, মাহবুব আলম, সাইফুল ইসলাম বাবুল, সাওন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।