মিয়ানমারে বি’স্ফো’র’ণে’র শব্দে ফের কাঁ’প’ছে এপারের ঘরবাড়ি

কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে দিনে রাতে থেমে থেমে মিয়ানমারের রাখাইনের চলমান সং’ঘা’তে বি’স্ফো’র’ণের শব্দে ফের কা’প’ছে এপারের ঘরবাড়ি,আ’ত’ঙ্কে টেকনাফের মানুষ।

১৩ নভেম্বর রাত থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে আবারও রাখাইনে মর্টারসেল ও হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া বোমার বিস্ফোরণের শব্দে এপারের টেকনাফ সীমান্তে বাড়িঘর কাপছে।টেকনাফ সীমান্তের খারাংখালী, টেকনাফ, পৌরসভা, হ্নীলা, জাদিমুড়া, দমদমিয়া, নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনা ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত থেকে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের শব্দ।
টেকনাফ ও শাহপরীর সীমান্তের বাসিন্দারা বলেন, আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষ নাফনদী ও সাগরের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। একদিন মাছ ধরতে না পারলে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। সীমান্তের বেড়িবাঁধে অনেক মানুষের বসবাস। তারা সবাই মিয়ানমার রাখাইনে আরাকান আর্মি ও দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে সেখানে বিস্ফোরণের শব্দে ঠিকমত ছোট বাচ্চাসহ রাতে ঘুমাতে পারে না। সব সময় ভয় ও আতঙ্কে থাকে।
সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন বিএ বলেন, টেকনাফ-সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ নাফনদী এবং সাগরে মাছ ধরে সংসার চালায়। মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের কারণে ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং ট্রলারের মালিকরা এক ধরনের আতঙ্কে থাকেন। অনেক সময় জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে মিয়ানমার সীমান্তে থাকা আরাকান আর্মির হাতে আটক হয়। গতকাল ও দুই ট্রলার সহ ৬ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে বলে শুনেছি। সম্প্রতি কয়েকবার বাংলাদেশি জেলে আরাকান আর্মির হাতে আটক হয়েছিল। পরে বিজিবির প্রচেষ্টায় তারা ফেরত আসতে পেরেছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, “মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। কাপছে এপারের ঘরবাড়ি, আতঙ্কে রয়েছে মানুষ। আমরা সীমান্তের মানুষের খোঁজ-খবর রাখছি। যেকোনো প্রকার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার রয়েছে।”

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email